গাজার পাশাপাশি অন্য এলাকার পরিস্থিতি মোকাবিলায়ও প্রস্তুত ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাঁর দেশ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চালানোর পাশাপাশি অন্যান্য এলাকায় পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে। জ্যেষ্ঠ কমান্ডারদের হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন।

গতকাল ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে দেশটির বিমানবাহিনীর তেল নফ ঘাঁটি পরিদর্শনে যান নেতানিয়াহু। এরপর তাঁর কার্যালয় থেকে তাঁর বক্তব্য প্রকাশ করা হয়।

সেখানে নেতানিয়াহু বলেন, ‘যারা আমাদের ক্ষতি করবে, আমরাও তাদের ক্ষতি করব। ইসরায়েল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা যা করা প্রয়োজন, তা করতে আমরা প্রস্তুত আছি। প্রতিরক্ষামূলক বা আক্রমণাত্মক—দুই ক্ষেত্রেই আমাদের প্রস্তুতি আছে।’

এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাস প্রাঙ্গণে বিমান হামলায় এক জ্যেষ্ঠ জেনারেলসহ ৭ ইরানি কর্মকর্তা নিহত হন। এ ঘটনায় ইরান প্রতিশোধ হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইসরায়েল এ হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেনি। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গত বুধবার বলেছেন, হামলার জন্য ইসরায়েলকে শাস্তি পেতে হবে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের কোনো বিশেষ প্রস্তুতি নিতে বলা হয়নি। তবে ইসরায়েল ‘বিভিন্ন পরিস্থিতি’ মোকাবিলায় ভালোভাবে প্রস্তুত আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন

নেতানিয়াহু এমন সময়ে কথাগুলো বললেন, যখন ইসরায়েলি সেনারা মধ্য গাজায় অভিযান শুরু করেছেন, সেখানে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। ইসরায়েল সেনাবাহিনী বলছে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠনগুলোর অবকাঠামো ধ্বংস করতে এ অভিযান চালাচ্ছে তারা।

দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে হামলা চালানোর প্রস্তুতি হিসেবে গাজা উপত্যকা থেকে বেশির ভাগ ইসরায়েলি সেনাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় লড়াই অব্যাহত আছে।

গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর কমপক্ষে ৩৩ হাজার ৫৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ২৩ লাখ মানুষ।