পারস্য উপসাগরের কূলে ছিল এক মুক্তার শহর। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিন্নিয়াহ দ্বীপে গড়ে উঠেছিল শহরটি। গত সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের একদল প্রত্নতাত্ত্বিক দাবি করেছেন, তাঁরা যে শহরের খোঁজ পেয়েছেন, সেটি পারস্য উপসাগরের প্রাচীনতম এক মুক্তার শহর। এর অবস্থান উম্ম আল–কোয়াইন শহরের পূর্বদিকে।
উম্ম আল-কোয়াইন পর্যটন ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রাচীন এ শহর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি কোনো এক সময় ৩০ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছিল। অর্থাৎ, এটি ছিল ইসলামি সভ্যতার পূর্ববর্তী কোনো শহর। ধারণা করা হয় যে এখানে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস ছিল। তাঁদের পেশা ছিল মুক্তা সংগ্রহ করা। এখানকার বাড়িগুলো তৈরি করা হয়েছিল স্থানীয় পাথর ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের নানা উপাদান ব্যবহার করে। বাড়ির ছাদে ব্যবহার করা হতো খেজুরের ডাল।
ইউনাইটেড আরব আমিরাতস ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্বের সহযোগী অধ্যাপক টিমোথি পাওয়ার বলেন, ওই অঞ্চলে আরও বেশ কয়েকটি মুক্তার শহর থাকলেও সিন্নিয়াহ দ্বীপে গড়ে ওঠা শহরটি ছিল অনন্য। শহরটির বয়স ও বিস্তৃতির পাশাপাশি এটি ছিল স্থায়ী আবাস। সারা বছর শহরটিতে লোকজন থাকত।
পাওয়ার বলেন, ‘এখানে বসবাসের ধরন ছিল আলাদা। এটি সত্যিকারের শহর হিসেবে গড়ে উঠেছিল। বিভিন্ন ধরনের ঘরবাড়ি দেখে বোঝা যায়, এটি ছিল ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে বিভিন্ন আর্থসামাজিক দলের কার্যক্রমও ছিল। এর কাছেই ছিল প্রাচীন গির্জার অস্তিত্ব। ধারণা করা হয়, লোকজন খ্রিষ্টধর্মে বিশ্বাসী ছিল।
এখানকার লোকজন সাগর ও হ্রদগুলোর ঝিনুক থেকে মুক্তা সংগ্রহ করত। প্রায় সাত হাজার বছর ধরে এ অঞ্চলের ঐতিহ্য এটি।