বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২২
লেবাননের বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ১১৭ জন। লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রচারিত ভিডিওতে বৈরুতের রাস এল নাবা এবং আল নুয়েইরি এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিমান হামলার পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা গেছে। ভিডিওগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছে আল–জাজিরার সত্য অনুসন্ধান সংস্থা।
ভিডিও দেখে মনে হয়েছে, অত্যন্ত জনবহুল আবাসিক এলাকায় এসব হামলা হয়েছে। দুটি আবাসিক ভবনে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে তাঁদের আবাসিক ভবন থেকে বের হয়ে আঙিনায় জড়ো হন। জরুরি সেবা প্রদানকারী কর্মীরাও দ্রুত ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে যান। এলাকাটি বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলির বাইরে। সেখানে নিয়মিতই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা হয়ে থাকে।
বৈরুত থেকে আল–জাজিরার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, লেবাননের রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে এ হামলা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে লোকজন সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
আগে থেকে কোনো ধরনের সতর্কবার্তা ছাড়াই এসব হামলা চালানো হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে এ পর্যন্ত তৃতীয়বারের মতো বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলি দাহিয়ের বাইরে ইসরায়েলি বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দাহিয়েতে প্রায় প্রতিদিনই বিমান হামলা হতে দেখা গেছে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বৈরুতের কোলাতে এবং ৩ অক্টোবর বাচৌরাতেও হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল।
এ ঘটনায় ইসরায়েল তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে গতকাল রাতে বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলির বাসিন্দাদের এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য নতুন করে সতর্কবার্তা দিয়েছে। সুনির্দিষ্ট করে কিছু ভবনের কথাও উল্লেখ করেছে তারা। এর আগে দিনের শুরুতে লেবাননের বেসামরিক মানুষদের উদ্দেশে দেওয়া সতর্কবার্তায় তাঁদের বাড়িতে না ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
গতকাল ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
এর আগে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট হামলা চালানোর দাবি করে হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলছে, আপার গালিলি এলাকায় বিস্ফোরণের সময় বোমা থেকে বের হওয়া ছোট টুকরার আঘাতে দুই ইসরায়েলি নাগরিক আহত হয়েছেন।