গাজায় শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ৭৮, ‘ভয়ংকর গণহত্যা’ বলছে হামাস
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মাঘাজি শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা গতকাল রোববার বলেছেন, নিহত হওয়ার সংখ্যা বাড়তে পারে।
আল কিদরা বলেন, মাঘাজি শরণার্থীশিবিরে ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় গণহত্যা চালানো হয়েছে। হামাস এক বিবৃতিতে এই বিমান হামলাকে ‘ভয়ংকর গণহত্যা’ ও ‘নতুন যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বেসামরিক নাগরিকেরা যাতে কম ক্ষতিগ্রস্ত হন, সে জন্য তাঁরা কাজ করছেন।
গতকাল গভীর রাতে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলা আজ সোমবারও অব্যাহত। স্থানীয় বাসিন্দা ও ফিলিস্তিনের গণমাধ্যম বলছে, গাজার কেন্দ্রে আল-বুরেইজ শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েল বিমান হামলা ও শেল হামলা বাড়াচ্ছে।
ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ফুটেজ প্রকাশ করেছে। রেড ক্রিসেন্ট বলছে, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবাপ্রদানকারী যানগুলো যাওয়ার পথে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন। ওই দিনই গাজা উপত্যকায় পাল্টা নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পরে গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে তারা। হামাস নির্মূলের নামে আকাশ ও নৌপথে হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েল।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।