হামলায় নাসরুল্লাহর সঙ্গে হিজবুল্লাহর ২০ জনের বেশি সদস্য নিহতের দাবি ইসরায়েলের
যে হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন, তাতে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির ২০ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। আজ রোববার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে এ দাবি করে। বিবৃতিতে তারা হিজবুল্লাহর নিহত কয়েকজন সদস্যের নামও উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘(নাসরুল্লাহর সঙ্গে) বিভিন্ন পদবির ২০ জনের বেশি সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা বৈরুতে বেসামরিক ভবনের নিচে ভূগর্ভস্থ প্রধান কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। (তাঁরা সেখান থেকে) ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিলেন।’
বিবৃতি অনুসারে, হামলায় ইব্রাহিম হোসেন জাজিনি ও সামির তৌফিক দিব নামের দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁরা ‘নাসরুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ ছিলেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাঁর (নাসরুল্লাহ) কাছাকাছি থাকার কারণে তাঁরা হিজবুল্লাহর প্রতিদিনের হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিলেন। সুনির্দিষ্টভাবে (এসব হামলায়) নাসরুল্লাহর (বড় ভূমিকা ছিল)।
শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলিতে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। পরের দিন শনিবার সকালে হামলায় নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার দাবি করে ইসরায়েল। এর কয়েক ঘণ্টা পর তাঁর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে হিজবুল্লাহ। আজ একই হামলায় গোষ্ঠীটির দক্ষিণ লেবাননের কমান্ডার আলী কারাকে নিহত হওয়ার কথাও নিশ্চিত করে হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলের বিবৃতিমতে, শুক্রবারের হামলায় আরও যেসব হিজবুল্লাহ সদস্য নিহত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আবেদ আল-আমির মুহাম্মদ সাবলিনি ও আলী নাফ আইয়ুব।
বৈরুতে হামলা অব্যাহত
আজ বৈরুতের দক্ষিণে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এলাকায় নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র হামলার কথা বার্তা সংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে আজ ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা’ চালানো হায়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।