কাবা শরিফে নতুন গিলাফ পরানো হল
পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবছর ৯ জিলহজ হজের সময় ঐতিহ্য অনুযায়ী গিলাফ পরিবর্তন করা হলেও এবার সেটা করা হয়নি। মক্কার মসজিদ আল–হারাম ও মদিনার মসজিদে নববী পরিচালনা পর্ষদের ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার মক্কায় কাবার গিলাফ পরিবর্তন করা হয়েছে। খবর গালফ নিউজের
হিজরি সনের প্রথম মাস মহররম। মাসের প্রথম দিনে কাবা শরীফের গিলাফ পরিবর্তন করা হল। আরবরা কাবা শরিফকে আবৃত করে রাখা কাপড়কে বলে কিসওয়া বলে। এ বছর গিলাফ পরিবর্তনে ১৬৬ জন মিস্ত্রি ও কারিগরের একটি দল অংশ নেয়। তাঁরা পুরোনো গিলাফ সরিয়ে নতুন গিলাফ স্থাপন করে।
কাবা শরিফের দরজা ও বাইরের গিলাফ—দুটোই রেশমি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়। গিলাফের মোট পাঁচটি টুকরো বানানো হয়। চারটি টুকরো চারদিকে এবং পঞ্চম টুকরোটি দরজায় লাগানো হয়। টুকরোগুলো পরস্পর সেলাইযুক্ত। কাবা শরিফের গিলাফের প্রতিটি কাপড়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৬৭০ কেজি রেশম, ১৫০ কেজি সোনা ও রুপার চিকন তার। ৪৭ থান সিল্কের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় এই গিলাফ। মোট আয়তন ৬৫৮ বর্গমিটার। প্রতিটি থান এক মিটার লম্বা ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়া। একটা আরেকটার সঙ্গে সেলাই করা। প্রতিবছর দুটি করে (একটি সতর্কতামূলক) গিলাফ তৈরি হয়। একটি হাতে তৈরি, বানাতে সময় লাগে আট-নয় মাস। অন্যটি মেশিনে মাত্র এক মাসে তৈরি করা হয়। উম্মুল জুদ কারখানায় মদিনায় হুজরায়ে নববির গিলাফও তৈরি করা হয়। গিলাফের অভ্যন্তরীণ পর্দাটির দৈর্ঘ্য সাত মিটার, প্রস্থ চার মিটার।
গোটা গিলাফ, বেল্ট ও অভ্যন্তরীণ পর্দার ১৬টি টুকরায় সোনার আয়াত খচিত আছে। সে ১৬টি টুকরার দৈর্ঘ্য ৪৭ মিটার, প্রস্থ ৯৫ সেন্টিমিটার। কারখানায় গিলাফ তৈরির পর তা কাবা শরিফের চাবির রক্ষক বনি শায়বা গোত্রের মনোনীত সেবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সবার সহযোগিতায় গিলাফ লাগানো হয়।