ইসরায়েলকে ‘যন্ত্রণাদায়ক’ জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধানের

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের প্রধান হোসেন সালামিছবি: এএফপি ফাইল ছবি

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের প্রধান হোসেন সালামি আবারও ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় তবে দেশটিকে আবার জবাব দেওয়া হবে।

আজ বৃহস্পতিবার বিপ্লবী গার্ডসের জেনারেল আব্বাস নিলফোরুশানের জানাজায় অংশ নিয়ে হোসেন সালামি এ হুঁশিয়ারি দেন।

গত সেপ্টেম্বরে লেবাননের বৈরুত শহরের দক্ষিণে ইসরায়েলি হামলায় জেনারেল আব্বাস নিহত হন। গত সপ্তাহে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। একই হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহ।

আরও পড়ুন

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও বৈরুতে একজন ইরানি জেনারেলকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। হামলার পর ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েলকে এ ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডসের প্রধান হোসেন সালামি। আজ জেনারেল নিলফোরুশানের জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা (ইসরায়েল) যদি ভুল করে ফেলেন এবং এ অঞ্চলে বা ইরানে আমাদের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালান, তবে আমরা আবারও যন্ত্রণাদায়ক হামলা চালাব।’

গত সোমবার ইরাকে নিলফোরুশানের জানাজা হয়। এরপর তাঁর মরদেহ ইরানে পৌঁছায়। আজ তাঁকে তাঁর জন্মশহর ইস্পাহানে দাফন করার কথা।

আরও পড়ুন

জানাজার সময় দেওয়া বক্তব্যে হোসেন সালামি ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের থাড ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা দেওয়ারও সমালোচনা করেন। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, তারা ইসরায়েলে এ ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা পাঠিয়েছে। এটি পরিচালনার জন্য প্রায় ১০০ মার্কিন সেনাও পাঠানো হয়েছে দেশটিতে।

থাড নির্ভরযোগ্য প্রতিরক্ষাব্যবস্থা নয় উল্লেখ করে সালামি বলেন, ‘এসব ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করবেন না। আপনারা মুসলিম জাতিকে হত্যা করতে পারবেন না এবং নিরাপদ থাকতে পারবেন না। আমরা আপনাদের দুর্বলতাগুলো জানি। আপনারা তা ভালো করে জানেন।’

আরও পড়ুন

মূলত গত বছর অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বোমা হামলা চালিয়ে ইরানের এলিট ফোর্স ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) একজন কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরায়েল। এর জবাবে ইরান এপ্রিলের মাঝামাঝি ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। সেটিই ছিল ইরান থেকে সরাসরি ইসরায়েলি হামলার প্রথম ঘটনা।

এরপর গত ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানীতে হামলা চালিয়ে হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে ইসরায়েল। সর্বশেষ ইরান–সমর্থিত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা ছিল তেহরানের জন্য বড় ক্ষোভের কারণ।

আরও পড়ুন