গাজায় যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলে হামলা চালানো থেকে বিরত রাখতে পারে ইরানকে
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিই শুধু ইরানকে ইসরায়েলে হামলা চালানো থেকে বিরত রাখতে পারে—এমনটাই জানিয়েছেন ইরানের তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
ইরানের রাজধানী তেহরানে গত মাসের শেষের দিকে হামলা চালিয়ে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার ঘটনার পর থেকে ইরান–ইসরায়েলের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বারবার হামলার হুমকি দিয়ে আসছে তেহরান। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তেহরানে গিয়েছিলেন হানিয়া।
হামাসপ্রধান হানিয়াকে হত্যার পেছনে ইসরায়েলের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে তেহরান। এ অভিযোগ স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি ইসরায়েল। ইতিমধ্যে ইসরায়েলের নিরাপত্তার স্বার্থে ওই অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন মোতায়েন করেছে ওয়াশিংটন।
একটি সূত্র (ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা) জানান, যদি গাজা নিয়ে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তবে হিজবুল্লাহর মতো মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালাতে পারে ইরান। কিংবা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে আলোচনা বিলম্বিত করার চেষ্টা করা হলেও এমনটা হতে পারে।
অবশ্য সরাসরি হামলা চালানোর আগে আলোচনা কতক্ষণ বিলম্বিত হওয়াকে ইরান আমলে নেবে, সেটা জানায়নি সূত্রগুলো।
গতকাল মঙ্গলবার তুরস্কে মার্কিন রাষ্ট্রদূত গণমাধ্যমে মন্তব্য করেন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমিয়ে আনতে ইরানকে বোঝানোর জন্য মিত্রদের কাছে সহায়তা চেয়েছে ওয়াশিংটন। ওই অঞ্চলের তিন দেশের সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মিসর বা কাতারে শুরু হতে যাওয়া শান্তি আলোচনার আগে উত্তেজনা এড়াতে তেহরানের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানি মিশন গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায়, তারা আশা করছে, তাদের প্রতিক্রিয়া এমন সময় কার্যকর করা হবে, যাতে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির ক্ষতি না হয়। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বলেছে, ইরানকে সংযম দেখানোর আহ্বান আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।