যুক্তরাষ্ট্রে সিরিয়ার সাবেক ২ গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ
সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ সরকারের অধীন কাজ করা দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট আদালতে অভিযোগ–সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওই দুই সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে বেসামরিক বন্দীদের ওপর নৃশংস ও অমানবিক আচরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই বন্দীদের মধ্যে মার্কিন কর্মকর্তারাও আছেন।
কৌঁসুলিদের তথ্য অনুযায়ী, ওই দুই অভিযুক্ত হলেন সিরীয় বিমানবাহিনীর গোয়েন্দা কর্মকর্তা জামিল হাসান (৭২) ও আবদুল সালাম মাহমুদ (৬৫)।
মার্কিন বিচার বিভাগ বলেছে, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাঁরা পলাতক। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য জানা যায়নি।
বিচার বিভাগ আরও বলেছে, দামেস্কের কাছে মেজেহ সামরিক বিমানবন্দরের (মেজেহ কারাগার) বন্দীশালায় মার্কিন নাগরিকসহ অন্য বন্দীদের প্রতি নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ করেছেন ওই দুই কর্মকর্তা। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন তাঁরা।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেন, ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের (নিপীড়নের শিকার মানুষদের) বেত্রাঘাত করেছেন; লাথি, বৈদ্যুতিক শক দিয়েছেন ও পুড়িয়েছেন; দীর্ঘ সময় ধরে দুই হাতের কবজি বেঁধে তাঁদের ঝুলিয়ে রেখেছেন; ধর্ষণ ও মৃত্যুর হুমকি দিয়েছেন এবং মিথ্যা বলেছেন যে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা নিহত হয়েছেন।
সিরিয়ায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আসাদ পরিবারের শাসন চলছিল। সপ্তাহান্তে বিদ্রোহীরা সে শাসনের অবসান ঘটিয়েছে।
সিরিয়ায় ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এ গৃহযুদ্ধ আধুনিক সময়ের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকট তৈরি করেছে। বোমা হামলায় শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে সিরিয়ার অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে।