সৌদিতে আক্রমণাত্মক অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র

সামরিক মহড়ায় সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমানফাইল ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরবের কাছে আক্রমণাত্মক অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আকাশ থেকে ভূমিতে হামলা চালানোর মতো কিছু গোলাবারুদ সৌদিতে বিক্রি-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। প্রচলিত অস্ত্র হস্তান্তর নীতির আলোকে ধাপে ধাপে এসব গোলাবারুদ সৌদির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সৌদিতে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে সম্প্রতি সবার আগে খবর প্রকাশ করেছিল রয়টার্স। তখন পাঁচটি সূত্রের বরাতে ওই খবর প্রকাশ করা হয়েছিল।

চলতি সপ্তাহে সৌদিতে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসকে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। একটি সূত্র জানায়, অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হতে পারে। শুক্রবার বিকেলেই বিক্রি-সংক্রান্ত দাপ্তরিক কাজ শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন।

২০১৫ সালে ইয়েমেনে সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক জোট প্রতিবেশী ইয়েমেন হামলা শুরু করে। এতে সৌদি জোট যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করত। হুতিদের সঙ্গে এ যুদ্ধে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়। এতে মার্কিন প্রশাসন চাপে পড়ে।

এই অবস্থায় ক্ষমতায় এসে ২০২১ সালে সৌদিতে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে কঠোর হন প্রেসিডেন্ট জো বাইেডন। এর মধ্যে ২০২২ সালের মার্চ থেকে সৌদি ও হুতিরা জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যায়। এরপর ইয়েমেনে সৌদি আরব কোনো হামলা চালায়নি। অন্যদিকে সৌদিতে হুতি হামলাও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে।

এই পরিস্থিতিতে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর সৌদিতে অস্ত্র বিক্রি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। সেটার ধারাবাহিকতায় দেশটিতে আক্রমণাত্মক গোলাবারুদ বিক্রি শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র।