বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার কৃতিত্ব দাবি নেতানিয়াহুর
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার কৃতিত্ব দাবি করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গতকাল রোববার রাশিয়ার রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের অভিযানে গতকালই সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গতকালই সিরিয়া-ইসরায়েল সীমান্ত পরিদর্শনে যান। সীমান্ত পরিদর্শনকালে তিনি সিরিয়ায় ক্ষমতার পালাবদলকে স্বাগত জানান।
এক ভিডিও বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসের একটি ঐতিহাসিক দিন।’
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাশার আল-আসাদ সরকার ইরানের শয়তান অক্ষ বা চক্রের একটি কেন্দ্রীয় যোগসূত্র—এই শাসনের পতন হয়েছে।
বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের কৃতিত্ব দাবি করেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘আসাদ সরকারের প্রধান সমর্থক ইরান ও হিজবুল্লাহর ওপর আমরা যে আঘাত হেনেছি, তার প্রত্যক্ষ ফলাফল এটি।’
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইসরায়েল ইরানের ওপর আক্রমণ এবং লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান চালানোর ফলে তারা আর আসাদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে পারেনি।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাশার আল-আসাদ গতকাল দেশ থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় যান। বাশার আল-আসাদ ও তাঁর পরিবারকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে মস্কো।
বিদ্রোহী যোদ্ধাদের ঝোড়ো অভিযানের মাত্র ১২ দিনের মাথায় বাশার আল-আসাদের পতন ঘটল। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের অবসান হলো।
১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ায় ক্ষমতায় ছিলেন বাশারের বাবা হাফিজ আল-আসাদ। বাবার মৃত্যুর পর ক্ষমতার মসনদে বসেন বাশার। প্রথমে সংস্কারের পথ ধরে এগোলেও পরে বাবার মতোই কর্তৃত্ববাদী শাসকে পরিণত হন। এর জের ধরে ‘আরব বসন্তের’ সময় ২০১১ সালে বাশারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।
ধীরে ধীরে তা রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। সেই গৃহযুদ্ধই চলছিল প্রায় ১৩ বছর। গৃহযুদ্ধ ও রক্তপাতের ধারাবাহিকতায় গত ২৭ নভেম্বর নতুন করে অভিযান শুরু করেন বিদ্রোহী যোদ্ধারা। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)। সঙ্গে ছিল ছোট-বড় আরও কয়েকটি গোষ্ঠী।