গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা থেকে সরে দাঁড়াল কাতার, দোহায় হামাসের কার্যালয় নিয়ে সতর্কতা
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছিল কাতার। তবে এ দায়িত্ব আপাতত পালন করবে না দেশটি। শুধু তা–ই নয়, রাজধানী দোহায় হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয় নিয়ে সতর্ক করে কাতার বলেছে, এ কার্যালয়ের আর প্রয়োজন নেই।
আজ শনিবার এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছে কূটনৈতিক একটি সূত্র। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্র বলেছে, ইসরায়েল ও হামাস—দুই পক্ষকেই কাতার জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে আন্তরিকভাবে যেতে রাজি না হবে, ততক্ষণ দোহা এ বিষয়ে আর মধ্যস্থতা করবে না। ফলে দোহায় হামাসের কার্যালয় থাকার দরকার নেই।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও হামাসের হাতে বন্দী থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা চলছে। এতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আশার আলো দেখা যায়নি। সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, কাতার যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হামাস আন্তরিকভাবে আলোচনার টেবিলে ফেরার আগ্রহ দেখালে তারা আবার মধ্যস্থতা করবে।
এদিকে সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, কাতারে হামাস নেতাদের আশ্রয় না দেওয়ার জন্য দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি সে আহ্বানে সাড়া দিয়েছে দোহা। যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বানে হামাস নেতারা সাড়া দেননি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কোনো দেশের রাজধানীতে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। এ ছাড়া ইসরায়েল থেকে ২ শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান হামাস সদস্যরা। সেদিন থেকেই গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৪৩ হাজার ৫৫২ জন ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার ৭৬৫ জন। নিহত ব্যক্তিদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ।