জিম্মিদের স্বজনদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে হামাসের ওপর সামরিক চাপ অব্যাহত রাখবেন নেতানিয়াহু
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের ওপর সামরিক চাপ অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার হামাসের কাছে থাকা তিন জিম্মিকে ভুল করে হত্যার কথা স্বীকার করে ইসরায়েল। এরপর গাজায় জিম্মিদের স্বজনেরা তাঁদের মুক্তির জন্য ও সমঝোতায় আসার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান। এর মধ্যেই এ ঘোষণা দিলেন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালানোর সময় তিন জিম্মি সাদা পতাকা বহন করছিলেন। তাঁরা সহায়তার জন্য হিব্রু ভাষায় আবেদন জানিয়েছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এসব তথ্য জানিয়েছে।
ভুল করে তিন জিম্মিকে হত্যার খবর প্রকাশিত হাওয়ার পর ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। জিম্মিদের স্বজনেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তাঁরা সমঝোতায় আসতে নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তেল আবিবে জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবারের ফোরাম আয়োজিত এক কর্মসূচিতে জিম্মি হেইম পেরির মেয়ে নোয়াম পেরি বলেন, ‘আমরা বারবার মৃত অবস্থায় জিম্মিদের পাচ্ছি।’
গত মাসে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি চলাকালে ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি জিম্মির মধ্যে শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়।
তবে জিম্মিদের স্বজনদের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে নেতানিয়াহু সামরিক চাপ অব্যাহত রাখার ওপরই জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে আমি জানাতে চাই যে অপহৃত ব্যক্তিদের ফেরত পেতে ও যুদ্ধে জয়ী হতে সামরিক চাপ প্রয়োজন।’
হামাস গতকাল শনিবার বলেছে, বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা বন্দী বিনিময় নিয়ে কোনো সমঝোতায় যাবে না।
হামাসের তথ্য অনুসারে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ১৮ হাজার ৮০০ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
গাজার উত্তরাঞ্চলে শেজাইয়া এলাকায় শুক্রবার অভিযানের সময় গুলিতে তিনজন জিম্মি নিহত হওয়ার কথা এক বিবৃতিতে জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। নিহত তিন ইসরায়েলি জিম্মি হলেন ইয়োতাম হাইম (২৮), সামের তালালকা (২২) ও অ্যালন শামরিজ (২৬)। তাঁদের মধ্যে দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অন্যজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।