মধ্য রাফা থেকে লোকজনকে সরতে বলল ইসরায়েল, আরও বড় হামলার ইঙ্গিত
ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের মধ্য রাফা এলাকার বাসিন্দাদের সেখান থেকে উত্তর-পূর্ব এলাকায় সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাফায় আরও বড় ধরনের অভিযানের ইঙ্গিত দিল ইসরায়েল। সমালোচকেরা বলছেন, ইসরায়েলের এ হামলা হলে রাফায় আরও লাখ লাখ মানুষের আশ্রয়হীন হয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ল। এ ছাড়া রাফার মধ্যাঞ্চলে স্থল অভিযানের ফলে আরও ধ্বংসযজ্ঞ দেখা যাবে। আরও অনেক মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়বেন। এভাবে পুরো শহরে এগিয়ে যাবে ইসরায়েলি বাহিনী।
এর আগে গত সপ্তাহে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) রাফার পূর্বাঞ্চলের লোকজনকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর মিসর সীমান্তের কাছে রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। আইডিএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘তারা রাফায় নিখুঁত, সুনির্দিষ্ট অভিযান’ পরিচালনা করছে।
ইসরায়েল সেনাবাহিনী আজ শনিবার বলেছে, গত সোমবার পূর্ব রাফা শহর থেকে লোকজনকে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়ার পর তিন লাখ মানুষ রাফা ছেড়ে আল-মাওয়াসির মানবিক এলাকায় চলে গেছেন। এর আগে গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘ বলেছিল, এক লাখ মানুষ রাফা ছেড়ে গেছেন। এর মধ্যেই গতকাল মধ্য রাফা ছাড়া শহরটির পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের আরও এলাকা ছাড়তে লোকজনকে নির্দেশে দিল ইসরায়েল। লিফলেট, বার্তা, ফোনকল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টের মাধ্যমে এ ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকে।
অবশ্য দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে রাফা থেকে লোকজনকে যেখানে পাঠানো হচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে কাজ করা মানবিক সহায়তাকর্মীরা বলেছেন, উপকূলীয় এলাকা ও উত্তর-পূর্বের যেখানে লোকজনকে সরে যেতে বলা হচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি মানবেতর। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৯৭১।
রাফা শহরে হামলা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের বিষয়টি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, রাফায় হামাসের শীর্ষ নেতারা রয়েছেন। হামাসের শক্তিও সেখানে।