ইসরায়েলি নারী–শিশুকে মুক্ত করার ভিডিও প্রকাশ করল হামাস
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে এক ইসরায়েলি নারী ও দুই শিশুকে মুক্ত করে দিতে দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, গত শনিবার ইসরায়েলে হামাসের ব্যাপক হামলার পর কোনো এক সময় তাঁদের আটক করা হয়েছিল।
হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা ইসরায়েলি নারী–শিশুদের নির্বিচার আটক করেছে। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে ‘অপরাধ সংঘটনের’ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে হামাস ভিডিওটি প্রকাশ করেছে।
আল–জাজিরার হাতে আসা ভিডিওটি দূর থেকে ধারণ করা। এতে অজ্ঞাত এক নারী ও দুই শিশুকে একটি বেড়ার পাশে রেখে আসেন এক ব্যক্তি। সম্ভবত তিনি হামাসের সদস্য। ধারণা করা হচ্ছে, জায়গাটি গাজা ও ইসরায়েলের সীমান্ত বেড়া। দূরে আর পেছন থেকে ভিডিও করায় নারী ও শিশুদের মুখ দেখা যায়নি।
গতকাল বুধবার রাতে আল–জাজিরা ভিডিওটি সম্প্রচার করেছে। তবে ভিডিওটি কবে ও কোথায় ধারণ করা হয়েছে, তা জানা যায়নি। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষও এ ভিডিও নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
তবে কাসেম ব্রিগেডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই নারী ইসরায়েলের নাগরিক। সেই সঙ্গে তিনি ইসরায়েলের অবৈধ বসতি স্থাপনকারী। সংঘাতের সময় দুই শিশু সন্তানসহ তাঁকে আটক করা হলেও এখন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের শুরু ৭ অক্টোবর। ওই দিন ইসরায়েলের ভূখণ্ডে নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় হামাস। মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজারের মতো রকেট ছুড়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয় সংগঠনটি। ভেদ করে ইসরায়েলের গর্ব করার মতো নিরাপত্তাব্যবস্থাকে।
শুধু তা-ই নয়, সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়েন হামাসের যোদ্ধারা। আটক করা হয় ১৫০ ইসরায়েলিকে। শুরুতে হতবাক হলেও দ্রুত পাল্টা জবাব দেয় ইসরায়েল। পাল্টা আক্রমণ করে গাজা উপত্যকায়। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এর পর থেকে ফিলিস্তিনে মুহুর্মুহু বোমা পড়ছে। ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাবারের চরম সংকট। অনেক জায়গায় নেই বিদ্যুৎ। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় মৃত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৫০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের মৃত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০-তে। তাঁদের মধ্যে দেশটির ১৫৫ জন সেনা সদস্যও রয়েছেন।