রাতভর ইসরায়েলি হামলা–অভিযানে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত

ইসরায়েলি হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। অধিকৃত পশ্চিম তীর, ৩ জুলাই
ছবি: রয়টার্স

অধিকৃত পশ্চিম তীরে রাতভর ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত চারজন। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে প্রাণ গেছে আরও এক ফিলিস্তিনির। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে এসব ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় অভিবাসী ও কর্মকর্তারা জানান, পশ্চিম তীরের উত্তরাংশে জেনিনের একটি শরণার্থী শিবিরে ড্রোন থেকে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় এখন পর্যন্ত চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাঁদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলায় আরও ২৭ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ওই শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী রাতভর অন্তত ১০টি হামলা চালিয়েছে বলে স্থানীয় অভিবাসীরা জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার কয়েকটি ভবন ও সড়ক। এ সময় শিবিরটি চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি সামরিক যান।

এদিকে গত রাতে পশ্চিম তীরের রামাল্লার উত্তরাংশের প্রবেশমুখে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে প্রাণ গেছে ফিলিস্তিনি তরুণ মোহাম্মদ হাসনাইন (২১)। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে মানুষজনকে হত্যা করার এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ সকালে এক বিবৃতিতে এই ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুর আগ্রাসন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ জন্য ইসরায়েল সরকারকে দায়ী করেছে ফিলিস্তিন।

আরও যুদ্ধবিমান কিনছে ইসরায়েল

ইসরায়েল সরকার তাঁদের অত্যাধুনিক এফ–৩৫ যুদ্ধবিমানের তৃতীয় বহর কেনার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া সামরিক সহায়তার ৩০০ কোটি ডলার দিয়ে এই যুদ্ধবিমান কিনবে ইসরায়েল।

স্থানীয় সময় গতকাল রোববার (২ জুলাই) এই ক্রয়াদেশ অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি লকহেড মার্টিনের তৈরি ২৫টি এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান কিনবে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের বহরে এফ–৩৫ যুদ্ধবিমানের সংখ্যা দাঁড়াবে ৭৫।

যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ইসরায়েল প্রথম দেশ, যারা অত্যাধুনিক এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান ব্যবহার শুরু করেছিল। ইসরায়েল ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের আর কোনো দেশের বহরে এই যুদ্ধবিমান নেই। সংযুক্ত আরব আমিরাত এফ–৩৫ যুদ্ধবিমান কিনতে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।