গাজায় দিনভর ইসরায়েলি হামলায় ৬১ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গতকাল শনিবার সারা দিনে অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন। নিহত মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে ৪০ হাজার ৬৯১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৪ হাজার ৬০ জন।
জাতিসংঘের একটি সংস্থা জানায়, গত বুধবার পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আক্রমণ শুরুর পর থেকে সেখানে ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে আছেন একজন প্রতিবন্ধী ও বেশ কিছু শিশু।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাদের ভয়াবহ অবরোধের মুখে পড়েছে পশ্চিম তীরের জেনিন শহর। সেখানকার বাসিন্দারা খাবার ও পানিসংকটে পড়েছেন। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট–সংযোগও। পশ্চিম তীরে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। গতকালও অভিযান অব্যাহত ছিল।
গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁরা এরই মধ্যে মধ্য গাজায় কিছু শিশুকে পোলিও টিকা দিতে শুরু করেছেন। আজ রোববার গাজায় জাতিসংঘের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এ উপলক্ষে তিন দিনের জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগের দিন গাজার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন ইসরায়েলি সেনারা।
গাজার প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, গতকাল গাজা সিটির তুফফাহ এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা জানা যায়নি। গাজা সিটির আল-আহলি আরব হাসপাতালে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এতে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক ডজন।
আল–জাজিরার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ১৭ হাজারই শিশু, যা সেখানকার মোট শিশুর ২ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে প্রতিদিন সেখানে প্রায় ৫৩ শিশু নিহত হয়েছে। প্রতিদিন নারী ও পুরুষ নিহত হয়েছেন ৭২ জন। অন্তত ১০ হাজার জন এখনো নিখোঁজ।