ইরানের যেকোনো হুমকিকেই সামাল দিতে পারব: ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

সোমবার সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের কনস্যুলার অ্যানেক্স ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ইরানের যেকোনো হুমকি মোকাবিলার জন্য তারা প্রস্তুত। সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে গত সোমবারের হামলাকে কেন্দ্র করে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এমন কথা বলেছে তারা।

ইরানের কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় ইসরায়েলকে ব্যাপকভাবে দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। ওই হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাত কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

রোববার ইরানের এক কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়। কারণ, ইরান জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আরও পড়ুন

হামলার আশঙ্কায় ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি বাহিনীকে অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সামনের দিনগুলোয় ইরান প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে।

এমন পরিপ্রেক্ষিতে টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে ইসরায়েলি সেনাপ্রধান হেরজি হালেভি বলেন, ‘ইরানকে সামাল দেওয়ার সক্ষমতা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর আছে। কাছে কিংবা দূরে যে জায়গাতেই ইরান হামলা চালাক না কেন, আমরা শক্তভাবে ব্যবস্থা নিতে পারব।’

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, সোমবারের হামলার জবাব দেওয়ার ‘আইনি ও বৈধ অধিকার’ ইসরায়েলের আছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ইসনার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জায়নবাদী শাসকের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।’ তবে ইরানের জবাব দেওয়ার ধরন কেমন হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োআভ গ্যালান্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যেকোনো সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর রণদলের সেনাদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে শক্তিশালী করতে আপৎকালীন মজুত সেনাদের (রিজার্ভ সেনা) ডাকা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিরোধ করতে দেশজুড়ে জিপিএস সংকেত বন্ধ করে করে রেখেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইরানি হামলার আশঙ্কায় দেশের কয়েকটি দূতাবাস ফাঁকা করা হয়েছে। তবে বিবিসি স্বতন্ত্রভাবে খবরগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। ইসরায়েলও এসব খবর নিশ্চিত করেনি।