কাতারে গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনা আবার শুরু, সহিংসতা চলছেই
গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে কাতারে হামাসের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু হয়েছে বলে গতকাল শনিবার জানিয়েছে ইসরায়েল। এদিকে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই গাজায় নতুন করে বোমাবর্ষণে ৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শনিবার ভোরে গাজা নগরীর আল-গোউলা পরিবারের বাড়িতে বিমান হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতটি শিশুও রয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যেই দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ কাতারে হামাসের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও প্রায় আড়াই শ জনকে।
কাৎজের কার্যালয় থেকে বলা হয়, হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলের নারী সেনাসদস্য লিরি আলবাগের স্বজনদের মন্ত্রী বলেছেন, জিম্মিদের মুক্ত করে আনার চেষ্টা চলছে।
জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য গত শুক্রবার ইসরায়েলের একটি প্রতিনিধিদল কাতার গেছে বলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
চলমান আলোচনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিস্তারিত দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাৎজ।
সম্প্রতি হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসেম ব্রিগেড একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তারিখবিহীন সাড়ে তিন মিনিটের ভিডিওটিতে দেখা যায়, ১৯ বছর বয়সী আলবাগ হিব্রু ভাষায় ইসরায়েল সরকারকে তাঁর মুক্তি নিশ্চিত করতে বলছেন।
এএফপি স্বতন্ত্রভাবে ওই ভিডিওর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
ওই ভিডিও প্রকাশের পর তাঁর পরিবার নেতানিয়াহুর কাছে একটি আবেদন করেছেন। তাঁরা বলেন, ‘আপনার নিজের সন্তানেরা সেখানে আছে, এমনটা ধরে নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।’
গাজায় এখনো ৯৬ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
প্রায় ১৫ মাস ধরে গাজা যুদ্ধ চলছে। কয়েক মাস ধরে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সাফল্য আসেনি।