‘বাড়ি ফিরে দেখি ঘরই নেই’

আশ্রয়শিবির থেকে এক ফিলিস্তিনি দম্পতি বাড়ি ফিরে দেখেন ইসরায়েলি হামলায় শুধুই ধ্বংসস্তূপ। গত শুক্রবার খান ইউনিসেছবি: রয়টার্স

দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে বাড়ি ফিরছেন অবরুদ্ধ গাজার কিছু ফিলিস্তিনি। কিন্তু বাড়ি ফিরলেও আদতে ঘরে ফেরা হচ্ছে না তাঁদের। কারণ, বাড়িতে যে কিছুই নেই। ইসরায়েলি হামলায় সবই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে গাজার কিছু বাসিন্দাকে বাড়ি ফিরতে দিচ্ছে ইসরায়েল। এরপর আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে এসব এলাকার বাসিন্দারা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে বাড়ি ফিরে দেখছেন কিছুই নেই।

দেইর আল বালা এলাকার এমনই এক বাসিন্দা আবদুল ফাত্তাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়ি ফিরে দেখি কিছুই নেই। ঘর নেই, বিদ্যুৎ নেই, গ্যাস নেই। এমন ঘরে ফিরলাম, পোশাকও বদলাতে পারি না।’

আল ফাত্তাহ বলেন, ‘জন্মের সময়ের মতো আমি নিঃস্ব। আমার আর কিছুই নেই। ঘরের খোঁজ নিতে বাড়ি ফিরে দেখছি ধ্বংসস্তূপ। কোথায় আমার ঘর, কোথায় আমার বাকি সব? কিছুই তো পেলাম না।’

মুসা আল বউরদাইনি নামের এক বাসিন্দা বললেন, ‘কেন তারা আমাদের ঘর ধ্বংস করল? বাড়িতে কেউ ছিল না, তারপরও এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এখন ১২০ জন বাসিন্দা কোথায় আশ্রয় নেবে?’

ইসরায়েলি বাহিনীর ক্রমাগত বোমাবর্ষণ থেকে রক্ষায় বাড়ির পাশে সাগরপাড়ে তাঁবু গেড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন আবদুল রউফ। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আবার নতুন করে সব শুরু করবেন বলে আশায় ছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখলেন কী ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে সেখানে। বাড়ি যেন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বললেন, ‘আমাদের আর কিছু নেই। আমাদের সব স্বপ্ন, সব স্মৃতি ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।’

ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেন আল তাবির বাড়ি যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বাড়ি ফিরে এটা দেখে মুষড়ে পড়েছেন তিনি। বলেন, ‘এর চেয়ে ভালো হতো যদি এই বাড়ির নিচেই চাপা পড়ে যেতাম। তাহলে এখানেই মৃত্যু হতো আমার। এত দিন পর ফিরে বাড়ির এই দশা আর দেখতে হতো না।’ মাঝবয়সী এই ব্যক্তির প্রশ্ন, ‘আমাদের এখন কী হবে? আমরা এখন কোথায় গিয়ে আবার আশ্রয় নেব?’