ইসরায়েলের হুমকি সত্ত্বেও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে শান্তিরক্ষী রাখতে অনড় জাতিসংঘ

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের একটি সড়কে লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনীর (ইউনিফিল) সামরিক যানফাইল ছবি: এএফপি

ইসরায়েল জাতিসংঘের কাছে বারবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে শান্তিরক্ষীদের সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে। তা সত্ত্বেও জাতিসংঘ বলেছে, দক্ষিণ লেবাননে তাদের শান্তিরক্ষীরা নিজ নিজ অবস্থানে থাকবেন।

জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের প্রধান জ্যঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সৈন্য পাঠানো সদস্যরাষ্ট্রগুলোর পূর্ণ সমর্থনে ইউনিফিল (ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন) মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইরান–সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দমন করতে গত মাস থেকে লেবাননে আকাশ ও স্থলাভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েল বলেছে, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের ইসরায়েলি বাহিনীর পথ থেকে সরে যাওয়া উচিত।

গত রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট ভাষায় জাতিসংঘকে সতর্ক করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলের অবস্থান থেকে সরে যেতে বলেছেন। নেতানিয়াহু আরও বলেন, সেখানে (জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশন) হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের জন্য মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

নেতানিয়াহুর সতর্কবার্তা সত্ত্বেও জাতিসংঘ অনড় অবস্থান নিয়েছে।

জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের প্রধান বলেছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রদত্ত ম্যান্ডেট কার্যকর করতে এবং বেসামরিক মানুষদের সহায়তায় ব্লু হেলমেটের (বাহিনীর) নিজ অবস্থানে থাকা অপরিহার্য।

ইসরায়েলের দাবি, হিজবুল্লাহর সুড়ঙ্গ নির্মাণ আটকাতে এবং সীমান্তের কাছে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের মতো অস্ত্র মোতায়েনে বাধা দিতে জাতিসংঘ ব্যর্থ হয়েছে।

এটিকে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ২০০৬ সালে হওয়া লেবানন যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন বলেও মনে করে ইসরায়েল।

এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ বলেছে, লেবাননে তাদের শান্তি রক্ষা মিশনের লক্ষ্য পক্ষগুলোকে সমর্থন করা, চুক্তির বাস্তবায়ন নয়।

আরও পড়ুন

বরং জাতিসংঘ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে জাতিসংঘের অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। গত সপ্তাহে লেবাননে হামলায় পাঁচ শান্তিরক্ষী আহত হন।

নেতানিয়াহু জাতিসংঘের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত রাতে এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেছেন, ইসরায়েল এ ধরনের ঘটনা রোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে, কিন্তু জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিপদের মুখ থেকে সরে আসতে হবে।

আরও পড়ুন