যুদ্ধবিরতি বাড়াতে হামাস ও ইসরায়েলকে রাজি করানোর চেষ্টায় মধ্যস্থতাকারীরা
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ নতুন করে বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা চলছে। মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা যুদ্ধবিরতির জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলে দিয়েছেন, হামাস যদি আরও জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি না হয়, তাহলে আবারও হামলা শুরুর পরিকল্পনা আছে তাদের।
গাজায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের মধ্যে গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। প্রথম দফা শেষে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুই দিন বাড়াতে একমত হয় দুই পক্ষ। এই যুদ্ধবিরতি শেষ হয় গত বুধবার। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার আরও এক দিনের জন্য বাড়ে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ।
এ যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার আগে আগে এর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মধ্যস্থতাকারীরা চেষ্টা করছেন।
মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুই দিন বাড়ানোর ব্যাপারে ইসরায়েল ও হামাসকে রাজি করানোর চেষ্টা করছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উপদেষ্টা মার্ক রিগেভ বলেছেন, হামাস যদি আরও জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করে, তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে রাজি আছে। এর আগে ইসরায়েল বলেছিল প্রতিদিন অন্তত ১০ জন করে জিম্মি মুক্তি দেওয়া হলে তারা যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি আছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে মার্ক রিগেভ বলেন, ‘আমরা সম্ভাব্য সবকিছুর জন্য প্রস্তুত আছি। তা না হলে আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে যাব।’
আজ শুক্রবার ইসরায়েল ও হামাসকে নতুন মেয়াদে যুদ্ধবিরতির জন্য রাজি করাতে মধ্যস্থতাকারীদের বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো আগের চেয়ে বেশি হতে পারে।
হামাসের কাছে এখন গুটিকয় নারী ও শিশু আটক আছে। এখন এসব জিম্মি মুক্ত করতে হামাসকে যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন করে শর্ত বেঁধে দেওয়া হতে পারে। এর বিনিময়ে ইসরায়েল থেকে ফিলিস্তিনের পুরুষ কারাবন্দীদের মুক্তি চায় হামাস। এখন পর্যন্ত প্রতি একজন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে তিনজন ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রাতে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এদিন আটজন ইসরায়েলি জিম্মিকে ছেড়ে দিয়েছে। এ নিয়ে ৭ দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালে হামাস ১০৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। এর বিনিময়ে ২৪০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দী মুক্তি পেয়েছে।