তেহরানে বিক্ষোভ: ১ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
ইরানের তেহরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সম্পৃক্ততার জন্য প্রায় এক হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তারক্ষীদের হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগ করা হয়েছে। তেহরানের প্রধান কৌঁসুলি এবং বিচার বিভাগীয় প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি ইজেই এ সংখ্যা প্রকাশ করেছেন। খবর বিবিসির
ইরানে পুলিশি হেফাজতে কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেড় মাস ধরে তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর ধরপাকড় অভিযান চালাচ্ছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। দেশজুড়ে এখন পর্যন্ত কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে অধিকারকর্মীরা বলছেন, এ সংখ্যা ১৪ হাজার।
সোমবার ইরানের বিচার বিভাগীয় প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি ইজেই বলেন, শুধু তেহরানেই এক হাজার মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তাঁদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হবে। তিনি আরও বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় হওয়া মামলাগুলো দ্রুত ও যথার্থতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে।
ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দুই কিশোর বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা চলার মধ্যে এ ঘোষণা এল। অভিযোগ উঠেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এ দুই কিশোর নিহত হয়েছে। সোমবার তাদের দাফন করা হয়।
কুর্দি মানবাধিকার সংগঠন হেনগাউ বলছে, পিরানশাহর শহরে বিক্ষোভ চলার সময় ১৬ বছর বয়সী কিশোর কুমার দারোফতাতেহকে কাছ থেকে গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়। সোমবার তার জানাজায় অংশগ্রহণকারী শোকাহত মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছেন। ১৬ বছর বয়সী কিশোরী সারিনা সায়েদিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সানন্দাজে দাফন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক দিন আগে বিক্ষোভ চলার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে বিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েছিল সারিনা। বিবিসির সাংবাদিক আরও বলেছেন, সারিনার বাবাকে দিয়ে জোর করে টিভিতে বলানো হয়েছে যে তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ইরানের মানবাধিকার সংগঠন এইচআরএএনএ বলছে, চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ২৮৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ জন শিশু। এ ছাড়া বিক্ষোভ চলার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৫ সদস্যও নিহত হয়েছেন।