গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চোখ ও হাত-পা বাঁধা ৩০ মরদেহ

ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএকে অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এতে বিপাকে পড়েছে গাজাবাসী। ত্রাণসহায়তার দাবিতে বড়দের সঙ্গে শামিল হয়েছে গাজার শিশুরাও। গত মঙ্গলবার রাফায়ছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চলে একটি বিদ্যালয়ের চত্বরে ধ্বংসস্তূপের নিচে কমপক্ষে ৩০টি মরদেহ পাওয়া গেছে। প্লাস্টিকের ব্যাগে এসব মরদেহ বাঁধা ছিল। কিছু মরদেহে পচন ধরেছে এবং সেগুলোর চোখ ও হাত-পা বাঁধা ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী এ ঘটনা ঘটিয়েছে, এমন অভিযোগের বিষয়টি জানিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে ফিলিস্তিন।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার ১১৭তম দিন গতকাল বুধবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী সরে যাওয়ার পর উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় খলিফা বিন জায়েদ প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে গতকাল ৩০টি মরদেহের খোঁজ পাওয়া যায়। ইসরায়েলি হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের নিচে মরদেহগুলো চাপা দেওয়া ছিল।

মরদেহগুলো প্লাস্টিকের কালো ব্যাগে প্লাস্টিক কেব্‌ল দিয়ে মোড়ানো ছিল। কেব্‌লের ওপর হিব্রু ভাষায় লেখা দেখা গেছে। সাধারণত তার বাঁধার কাজে এ ধরনের কেব্‌ল ব্যবহার করতে দেখা যায়।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমরা বিদ্যালয় চত্বরের ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করছিলাম। ধ্বংসস্তূপের নিচে এতগুলো মরদেহ দেখে আমরা স্তম্ভিত হয়ে যাই।’ তিনি বলেন, ‘কালো প্লাস্টিক ব্যাগগুলো খুলতেই আমরা ইতিমধ্যে পচন ধরা মরদেহগুলো দেখতে পাই। মরদেহগুলোর চোখ ও হাত-পা বাঁধা ছিল। হাত ও পায়ে প্লাস্টিকের হাতকড়া ছিল।’

আটকের পর ইসরায়েলি বাহিনী এসব ব্যক্তিকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ থাকায় বিষয়টি তদন্তে আন্তর্জাতিক কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করেই ফিলিস্তিনি জনগণকে ‘নিধন’ করে যাচ্ছে ইসরায়েল। আদালত তাদের গণহত্যা এবং জাতিগত নিধনের অপরাধ বন্ধ করতে বলেছিলেন।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গতকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২৬ হাজার ৯০০ জন নিহত হয়েছেন।