গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ১৭৯ ফিলিস্তিনির গণকবর
ইসরায়েলের হামলায় উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালের অবস্থা এখন শোচনীয়। উপত্যকার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালের চত্বরে ১৭৯ ফিলিস্তিনিকে গণকবর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়াহ।
মঙ্গলবার আবু সালমিয়াহ বলেন, ইসরায়েলের হামলার ভয়াবহতায় মারা যাওয়া ১৭৯ জনকে হাসপাতালটির চত্বরে গণকবর দিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। হাসপাতালে জ্বালানি শেষ হওয়ার পর থেকে মারা যাওয়া ৭ শিশু ও ২৯ রোগীকে সেখানে কবর দেওয়া হয়েছে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আল-শিফার মতো বেহাল উত্তরের হাসপাতালগুলো। সেখানকার সব হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে সোমবারই জানানো হয়েছিল।
মঙ্গলবারও আল-শিফা হাসপাতাল ট্যাংক দিয়ে ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির অভাবে সেখানে শিশুসহ একের পর এক রোগী মারা যাচ্ছেন। গত কয়েক দিনে হাসপাতালটির অন্তত ৪০ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সেখানে এখনো ৬৫০ রোগী ও হাজার হাজার শরণার্থী রয়েছেন।
আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের নৃশংসতার মধ্যে প্রথমবারের মতো এ নিয়ে মুখ খুলেছেন বাইডেন। ইসরায়েলকে গাজার হাসপাতালগুলো রক্ষার আহ্বান জানিয়ে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আশা করছি হাসপাতালগুলো ঘিরে তুলনামূলক কম অভিযান চালানো হবে। আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে গাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জোর আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার’ অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তবে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন মেনেই কাজ করতে হবে। আর হাসপাতালসহ নিরপরাধ মানুষকে রক্ষায় সব পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে পশ্চিম তীরে উগ্রবাদীদের সহিংসতা বন্ধ করতে হবে।’