হামাসের সুড়ঙ্গে সাগর থেকে পানি ঢালতে শুরু করেছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজায় একটি সুড়ঙ্গ ফাইলছবি: রয়টার্স

গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সুড়ঙ্গগুলোতে সাগরের পানি ঢালতে শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। কয়েক সপ্তাহ ধরে এ প্রক্রিয়া চলতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এমন খবর প্রকাশ করেছে।

এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে তিনি সরাসরি কিছু বলতে রাজি হননি। শুধু বলেছেন, ইসরায়েল থেকে হামাসের হাতে আটক হওয়া ব্যক্তিদের কেউ ওই সুড়ঙ্গগুলোতে নেই বলে তাঁকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে সুড়ঙ্গে পানি ঢালার খবরটি প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় হামাসের সুড়ঙ্গের যে বিশাল গোলকধাঁধা আছে, সেখানে সম্প্রতি সাগর থেকে সেঁচের মাধ্যমে পানি ঢালতে শুরু করেছে ইসরায়েল।

আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজও পরে একই রকমের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, পানি ঢালার এ প্রক্রিয়া সীমিত আকারে চালানো হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ, কৌশলটির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা প্রতিবেদনগুলো খতিয়ে দেখছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও এবিসি নিউজের প্রতিবেদনের ব্যাপারে বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। জবাবে বাইডেন বলেন, সুড়ঙ্গে পানি ঢালার বিষয়ে তিনি কিছু বলতে অপারগ।

‘দাবি করা হচ্ছে, এসব সুড়ঙ্গের কোনোটিতে জিম্মিদের কাউকে রাখা হয়নি। তবে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই’, বলেন বাইডেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি জানি প্রত্যেক বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আর ইসরায়েল তাদের উদ্দেশ্যের কথা বলেছে, যেমনটা আমি বলেছি। তারা তাদের বলা কথাগুলো বাস্তবায়ন করছে।’

বাইডেনের প্রশাসনের কয়েক কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, পানি ঢালার মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করা সম্ভব হতে পারে। ইসরায়েলের ধারণা, এসব সুড়ঙ্গে হামাস জিম্মি ও যোদ্ধাদের লুকিয়ে রাখে। সেখানে হামাসের অস্ত্রভান্ডারও আছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাগরের পানি ঢালার কারণে গাজায় মিঠাপানির সরবরাহব্যবস্থা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন কোনো কোনো কর্মকর্তা।