ইয়েমেনে হুতিদের ওপর আবার যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলা
ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর আবার যৌথ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। সোমবার রাতে গোষ্ঠীটির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে এ হামলা চালানো হয়। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসকে এ তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাবিষয়ক দুই কর্মকর্তা।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দ্বিতীয়বারের মতো হুতিদের ওপর যৌথ হামলা চালাল। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আলাদাভাবে আটবার হামলা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবারের হামলার লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে হুতিদের ব্যবহার করা রাডার ব্যবস্থাও ছিল। এর আগের হামলাগুলোর বেশির ভাগই গোষ্ঠীটির ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস আইসেনহাওয়ারের কয়েকটি যুদ্ধবিমান হুতিদের ওপর এই হামলায় অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে সোমবারেই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
দুজনের আলাপচারিতার বিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে ইরানপন্থী হুতি বিদ্রোহীদের হামলার বিষয়ে আলোচনা করেছেন বাইডেন ও সুনাক। এ সময় তাঁরা এ নৌপথে ‘অবাধে জাহাজ চলাচল, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং রীতিবিরুদ্ধ হামলা থেকে নৌসেনাদের রক্ষায়’ নিজেদের প্রতিশ্রুতির ওপর আবারও জোর দেন।
ইয়েমেন সংলগ্ন লোহিত সাগর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি নৌপথ। এ নৌপথে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জাহাজে হামলা চালায় হুতিরা। তাদের দাবি, ওই জাহাজগুলোর ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এর পরে হুতিদের ওপর হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। দেশ দুটির ভাষ্য, তারা হুতিদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না। শুধু লোহিত সাগরের নৌপথের সুরক্ষার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা শুরুর পর থেকেই ফিলিস্তিনের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে হুতিরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকবার ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তারা। ইসরায়েল থেকে সেসব হামলার পাল্টা জবাবও দেওয়া হয়েছে।