গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ার আশা যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিন বাড়ানোর বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইভাবে একে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, তাঁরা আশা করছেন, মানবিক এ বিরতি আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য অব্যাহত থাকবে।
২৪ নভেম্বর থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এর মেয়াদ গতকাল সোমবার ২৭ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে কাতারের মধ্যস্থতায় এর মেয়াদ আরও দুই দিন বেড়েছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর পটভূমিতে গতকাল এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ চুক্তি নিশ্চিত করার জন্য আমি সর্বাত্মকভাবে সম্পৃক্ত রয়েছি। বিস্তৃতভাবে মার্কিন মধ্যস্থতা ও কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ফলাফল টেকসই হতে পারে।’
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই দিন বাড়ানোর বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবশ্যই আমরা আশা করব যে বিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে এবং এটি নির্ভর করবে হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি অব্যাহত রাখার ওপর।’
হামাস আগামী দুই দিনের মধ্যে গাজা উপত্যকায় জিম্মি হওয়া আরও ২০ নারী ও শিশুকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানান কিরবি।
গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হওয়ার ব্যাপারে তিনি খুব বেশি আশাবাদী ছিলেন না উল্লেখ করে কিরবি বলেন, ‘আমি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষে কথা বলব না, কিন্তু যখন এ বিরতি শেষ হয়ে যেত, তারা খুব স্পষ্ট করে দিয়েছিল, পুনরায় তারা হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাবে।’
হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিসরে হামলা চালায়। ইসরায়েল জানায়, ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন, যাঁদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৪০ জনের মতো মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে, যাঁদের মধ্যে বয়স্ক মানুষ ও শিশু রয়েছে।
হামাসের হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই হামাসশাসিত গাজায় অনবরত বোমা হামলা চালিয়ে আসছিল ইসরায়েল বাহিনী। পরে স্থলপথেও আক্রমণ শুরু করে তারা। এতে ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিন নিহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে কয়েক হাজার শিশু। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি।