ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের সর্বশেষ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ১১ দিনের মতো চলছে ইসরায়েলের বোমা হামলা। এতে বিধ্বস্ত এক এলাকায় পরিণত হয়েছে গাজা। বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন গাজার ২২ লাখ বাসিন্দা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাত ঘিরে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো।
ইসরায়েলে যাচ্ছেন বাইডেন: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামীকাল বুধবার ইসরায়েলে যাচ্ছেন। এরপর তাঁর জর্ডান সফরের কথা রয়েছে। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ইরানের হুঁশিয়ারি: ইসরায়েল গাজায় ‘যুদ্ধাপরাধ’ চালানো বন্ধ না করলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরান পদক্ষেপ নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান। একই সঙ্গে গাজায় যেকোনো কর্মকাণ্ডের পরিণতি ইসরায়েলকে ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
রাতভর হামলা: গতকাল সোমবার রাতভর দক্ষিণ গাজার রাফাহ ও খান ইউনিসে আবাসিক ভবনে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের নির্দেশের পর উত্তর গাজা থেকে পালিয়ে আসা অনেকে সেখানে অবস্থান করছিলেন।
উত্তর গাজা ছেড়েছেন ছয় লাখ মানুষ: ইসরায়েলের নির্দেশের পর উত্তর গাজা থেকে প্রায় ছয় লাখ মানুষ পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস। সেখানে এখনো কয়েক লাখ মানুষ রয়ে গেছেন উল্লেখ করে তাঁদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আরও দুর্দশায় গাজাবাসী: জাতিসংঘের ফিলিস্তিন শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, গাজাবাসীর দুর্দশা দিন দিন বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে গাজায় মানবিক ত্রাণসহায়তা পৌঁছানোর জন্য মিসর–গাজা সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়া হবে বলে আশার আলো দেখা গিয়েছিল। তবে এমন কিছু এখনো ঘটেনি।