গাজায় ‘বর্ধিত মানবিক বিরতির’ প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে
মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধে ‘বর্ধিত মানবিক বিরতির’ আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। প্রস্তাবে অবিলম্বে জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তিরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
মাল্টার উত্থাপিত প্রস্তাবটি বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হয়। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে ১২টি দেশ ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া।
প্রস্তাবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, রেড ক্রস ও অন্যান্য ‘নিরপেক্ষ’ মানবিক সংগঠনকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দিতে পর্যাপ্তসংখ্যক দিনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে বর্ধিত মানবিক বিরতি ও করিডর খুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবটি পালনে আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অবশ্য অতীতে নিরাপত্তা পরিষদের এ ধরনের অনেক আইনি বাধ্যবাধকতা থাকা প্রস্তাব ইসরায়েল মেনে চলেনি।
এরপরও বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রস্তাবটি ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি পাসে বাধা দেয়নি। দেশটি চাইলে ভেটো দিয়ে প্রস্তাবটি আটকে দিতে পারত।
গত ৭ অক্টোবর এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ সংকট নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বসল নিরাপত্তা পরিষদ। আগের বৈঠকে উত্থাপিত প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ায় পাস হয়নি।
ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। যদিও শুরুতে এ সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ দাবি করেছিল দেশটি। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে বলে ইসরায়েল দাবি করে আসছে।
হামাসের হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। নির্বিচার ও বিরামহীন হামলায় গাজায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।তাঁদের মধ্যে আট হাজারের বেশি নারী ও শিশু। এ ছাড়া সর্বাত্মক অবরোধের কারণে গাজায় খাবার, পানি ও ওষুধের অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।