যুদ্ধবিরতির আলোচনা: সমঝোতা ছাড়াই মিসর ছাড়তে হলো হামাসকে
আসন্ন পবিত্র রমজানে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কায়রো আলোচনায় কোনো ঐকমত্য হয়নি। আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার মিসরের রাজধানী কায়রো ছেড়েছে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের প্রতিনিধিদল। এ আলোচনায় ঐকমত্য না হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে হামাস।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘(ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা) আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার সকালে কায়রো ছেড়েছে হামাসের প্রতিনিধিদল। তবে (ইসরায়েলের) আগ্রাসন বন্ধে, বাস্তুচ্যুতদের ফিরিয়ে আনতে এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণসহায়তার আলোচনা ও প্রচেষ্টা চলতে থাকবে।’
যুদ্ধবিরতির জন্য কায়রোয় চার দিনব্যাপী এ আলোচনার আয়োজন করেছিল মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতার। আলোচনায় কোনো ঐকমত্য না হওয়ার বিষয়ে হামাস নেতা সামি আবু জুহরি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রচেষ্টা ‘ভেস্তে’ দিচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধ বন্ধে এবং সেখান থেকে সেনা ফিরিয়ে নিতে হামাসের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।
আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এ সময়ে ৪০ দিন যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কায়রোয় ওই আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন কাতার, মিসর ও হামাসের প্রতিনিধিরা। তবে ইসরায়েলের কোনো প্রতিনিধি সেখানে ছিলেন না।
আলোচনায় হামাসের সামনে যে খসড়া চুক্তি তুলে ধরা হয়েছিল, তার শর্ত অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির সময় গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের একাংশকে মুক্তি দেওয়া হবে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে তাঁদের আটক করেছিলেন হামাস সদস্যরা। শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েলে বন্দী থাকা কিছু ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেওয়া হবে।
এর আগে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছিল, ইসরায়েল কায়রো আলোচনায় অংশ নেয়নি। কারণ, হামাস এখনো জিম্মি থাকা জীবিত ব্যক্তিদের তালিকা তাদের হাতে দেয়নি। তবে হামাস বলছে, ওই জিম্মিরা গাজার যুদ্ধক্ষেত্রে বিভিন্ন স্থানে রয়েছেন। তাই যুদ্ধবিরতি ছাড়া তাঁদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা সম্ভব নয়।
এদিকে কায়রো আলোচনার মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আপাতত কোনো আশার আলো দেখা না গেলেও এ বিষয়ে চুক্তি এখনো সম্ভব বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ‘আমরা এ চুক্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাব।’