গাজায় ইসরায়েলি হামলায় সাদা ফসফরাস ব্যবহারে ক্ষতি কতটা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গভীর রাতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী
ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান হামলায় সাদা ফসফরাস ব্যবহার করছে ইসরায়েল। লেবাননে হামলায়ও অত্যন্ত দাহ্য এ রাসায়নিকের ব্যবহার করেছে তারা। মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, সাদা ফসফরাসের ব্যবহার বেসামরিক নাগরিকদের গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে ফেলছে। এ রাসায়নিকে মানুষ মারাত্মকভাবে দগ্ধ হতে পারে, ঘরবাড়িতে আগুন ধরে যেতে পারে। জনবহুল এলাকায় এর ব্যবহার বেআইনি।

সাদা ফসফরাস এতটাই দাহ্য যে এতে ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তাপ তৈরি হয়। এতে ধাতব পদার্থও গলে যায়। ইসরায়েলি বাহিনী কামানের গোলায় এই ফসফরাস ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে এইচআরডব্লিউ। সংস্থাটি বলেছে, গাজা ও লেবাননে হামলার ভিডিও বিশ্লেষণ করে তাদের এটা মনে হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদা ফসফরাস অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে জ্বলে ওঠে। এটি ঘন সাদা ধোঁয়া তৈরি করে। বিশেষ করে জনবহুল এলাকায় এ রাসায়নিক যখন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রয়টার্সকে বলেছে, তারা বর্তমানে গাজায় সাদা ফসফরাসযুক্ত অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে অবগত নয়। তবে লেবাননে এ অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮-০৯ সালে গাজায় চালানো হামলায়ও সাদা ফসফরাস ব্যবহার করেছিল ইসরায়েল। তখন বেশ কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছিল।

আল-জাজিরা জানায়, গাজায় ইসরায়েলের সাদা ফসফরাস ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ম্যাক্সওয়েল ফ্রস্ট। ডেমোক্র্যাট এ আইনপ্রণেতা বলেছেন, আরও নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানিতে তাঁর হৃদয় ভেঙে গেছে। গাজার অধিবাসীরা সেখানকার পরিস্থিতিকে পৃথিবীর নরক বলছেন। গাজায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস করে, যাদের অর্ধেকই শিশু।

ফ্রস্ট বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইনে সাদা ফসফরাসের ব্যবহার ও বেসামরিক মানুষের ওপর বোমা হামলা নিষিদ্ধ।