ইসরায়েলে ২০০ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিজবুল্লাহর, বড় সংঘাতের আশঙ্কা

রকেট হামলাছবি: টুইটার থেকে

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সামরিক অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে ২০০টির বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহর একটি সূত্র আল–জাজিরাকে এ তথ্য জানিয়েছে।

হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়, গতকাল বুধবার হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মুহাম্মদ নিমাহ নাসেরকে হত্যার জবাবে তারা এই ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে।

হিজবুল্লাহর এ হামলার পর লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হিজবুল্লাহ কমান্ডার নাসের ‘হাজ্জ আবু নিমাহ’ নামেও পরিচিত ছিলেন। গত ৯ মাসে লেবানন ও ইসরায়েল সীমান্ত লড়াইয়ে হিজবুল্লাহর নিহত হওয়া তৃতীয় সর্বোচ্চ নেতা হলেন তিনি।

হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি ও কথার লড়াইয়ের মধ্যেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, হিজবুল্লাহর আজিজ ইউনিটের নেতৃত্বে ছিলেন নাসের। ইউনিটটি দক্ষিণ-পশ্চিম লেবানন থেকে রকেট হামলা চালানোর জন্য দায়ী। নাসের অসংখ্যবার জঙ্গি হামলা চালিয়েছেন বলেও দাবি করেছে ইসরায়েল।

হিজবুল্লাহর এ হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)। আইডিএফ বলেছে, গোলান মরুভূমি এলাকায় ২০০টির মতো রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু ধ্বংস করা হয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এটাই হিজবুল্লাহর সবচেয়ে বড় ধরনের রকেট হামলার ঘটনা। এ হামলায় কোনো হতাহত হয়নি। লোকজনকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। এর পাল্টা জবাব হিসেবে লেবাননে হামলা করা হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উত্তেজনা নিরসনে ও মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়ানো ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও আরবের মধ্যস্থতাকারীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সর্বাত্মক যুদ্ধ বেধে গেলে সেটির সম্ভাব্য ফলাফল অত্যন্ত ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। যুদ্ধে ইরান ও অন্যান্য গোষ্ঠী জড়িয়ে পড়তে পারে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এর পর থেকে প্রায় প্রতিদিন ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে পাল্টাপাল্টি গোলা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।

চলমান সংঘাতে এ পর্যন্ত লেবাননের ৪০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। এ ছাড়া নিহত হয়েছেন ২৫ ইসরায়েলি। তাঁদের প্রায় সবাই সেনাসদস্য।