রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১০০: হামাস
ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজার রাফায় আজ সোমবার সূর্যোদয়ের আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছেন। গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগে বলেছিল, মিসরের সীমান্তবর্তী শহরটিতে ইসরায়েলি হামলায় ৫২ জন নিহত হয়েছেন। এখন তারা আগের তথ্য সংশোধন করে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ার কথা জানাল।
বাস্তুচ্যুত লাখো ফিলিস্তিনির আশ্রয় নেওয়া রাফায় স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। রাফায় স্থল অভিযান না চালাতে আহ্বান জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান উপেক্ষা করে রাফায় স্থল অভিযান চালাতে অনড় রয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তিনি তাঁর সেনাদের রাফা অভিযানের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থল অভিযান শুরুর আগে রাফা থেকে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
রাফায় স্থল অভিযান শুরুর আগে শহরটিতে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল রাফার পূর্ব দিকের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৫ জন নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আজ ভোরের আগে জনাকীর্ণ শহরটিতে ইসরায়েল ভারী বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে প্রায় ১০০ লোক নিহত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সরকারি তথ্যের আলোকে এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলে হামাসের এই হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে। জিম্মিদের মধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গত নভেম্বরের শেষের দিকের এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় ছেড়ে দেয় হামাস।
ইসরায়েল বলেছে, গাজায় এখনো প্রায় ১৩০ জন জিম্মি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চার মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৮ হাজার ১৭৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।