আল-শিফা হাসপাতালে ঢুকে জিজ্ঞাসাবাদ-তল্লাশি চালাচ্ছেন ইসরায়েলি সেনারা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় ঢোকা ইসরায়েলি সেনারা হাসপাতালে তল্লাশি ও প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ঘাঁটি গড়ে তুলেছে এমন দাবি করে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটায় হাসপাতালটিতে ঢোকেন শতাধিক ইসরায়েলি সেনা। তাঁদের সঙ্গে ছিল অন্তত ছয়টি ট্যাংক।
হাসপাতালে থাকা খাদের নামের এক সাংবাদিক বলছেন, প্রতিটি তলায়, প্রতিটি কক্ষে ঢুকে ঢুকে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইসরায়েলি সেনারা। রোগী থেকে হাসপাতালের কর্মী কেউই বাদ যাচ্ছেন না। এই সেনাদের সঙ্গে যাচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও আরবি ভাষা জানা দোভাষীরা।
হাসপাতালের পরিস্থিতি বর্ণনায় সাংবাদিক খাদের জানান, ইসরায়েলি হামলায় গৃহহীন দুই হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালটিতে আশ্রয় নিয়েছেন। হাসপাতালের চত্বরে এনে এসব উদ্বাস্তুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইসরায়েলের সেনারা। তাঁদের মধ্যে অনেকের শরীরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
গাজা নগরে অবস্থান আল-শিফা হাসপাতালের। উপত্যকার উত্তর অংশের এই হাসপাতালে সাড়ে ছয় শতাধিক রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০০ জনের অবস্থা সংকটজনক। রোগী ছাড়া দুই থেকে তিন হাজার উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে সেখানে। আছেন চিকিৎসকসহ ৭০০ স্বাস্থ্যকর্মী।
কয়েক দিন ধরেই হাসপাতালটি খালি করার নির্দেশ দিয়ে আসছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। হাসপাতালে চারদিকে মোতায়েন করে রেখেছিল ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান। আশপাশে গুলি ও বোমা হামলাও চালাচ্ছিল। হাসপাতালে অভিযান না চালাতে আহ্বান জানাচ্ছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও।
তবে সব আহ্বান উপেক্ষা করে মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের সেনারা হাসপাতালে অভিযান শুরু করেন। এতে হাসপাতালে থাকা রোগী, উদ্বাস্তু ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে ঢুকে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানের মুখে তাঁদের সবার জীবনই এখন ঝুঁকির মুখে।
প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক খাদের জানান, হাসপাতালটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখনো ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর হাতে। এ ছাড়া হাসপাতালটির ভেতরে ও আশপাশে এখন কোনো গোলাগুলিও হচ্ছে না।