দুবাইয়ে রেকর্ড দামে বিক্রি ‘বালুর ঢিবি’
১৯ এপ্রিল সাড়ে ১২ কোটি দিরহামে এক ক্রেতা এটি কিনেছেন। তবে তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এটা কোনো সুদৃশ্য প্রাসাদ নয়। কোনো নামকরা স্থপতির নকশা করা বিলাসবহুল ভবনও নয়। এটি কেবল কয়েকটি বালুর ঢিবি। অথচ এর দাম শুনলেই চমকে উঠবেন। এর দাম ৩৬০ কোটি টাকার বেশি। দুবাইয়ের কৃত্রিম দ্বীপ জুমেইরা বে আইল্যান্ডের একটি বালুর প্লট বিক্রি হলো এ দামেই। ১৯ এপ্রিল আমিরাতের মুদ্রায় সাড়ে ১২ কোটি দিরহামে এক ক্রেতা এটি কিনেছেন। তবে তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
দুবাই এখন অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় স্থান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোটিপতিরা দুবাইয়ের আবাসন খাতে নামে–বেনামে বিনিয়োগ করছেন। ফলে সেখানকার জমি, প্লট, ফ্ল্যাটের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। আর তা থেকে সুবিধা নিচ্ছে দুবাই। একটি প্লটের রেকর্ড দাম সে কথাই জানাচ্ছে।
প্লটটির আকার সাড়ে ২৪ হাজার বর্গফুট। দুবাইয়ের মূল ভূখণ্ড থেকে একটি সেতুর মাধ্যমে ওই কৃত্রিম দ্বীপে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। এই প্লট বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ছিল নাইট ফ্রাঙ্ক নামের একটি আবাসন খাতের প্রতিষ্ঠান। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ক্রেতা সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দা নন। তিনি এখানে ছুটি কাটাতে আসার জন্য বাড়ি বানাতে চান।
দুবাইয়ের নাইট ফ্রাঙ্কের আবাসিক বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু কামিন্স বলেন, ৩৬০ কোটি টাকা শুধু বালুর জন্য। একটি প্লটের জন্য অর্থ খরচ করার রেকর্ড এটি। ২ বছর আগে প্লটটির মালিক ১০৫ কোটি টাকায় এটি কিনেছিলেন। অর্থাৎ ২ বছরেই তিনি ২৫৫ কোটি টাকা লাভ করেছেন।
তেলের উচ্চ মূল্যের কারণে শহরটি এমন আবাসন খাতের আকর্ষণীয় বাজারে পরিণত হয়েছে। এখানকার অপরাধপ্রবণতা কম থাকা, কম ট্যাক্সসহ নানা সুবিধার কারণে বিশ্বের কোটিপতিরা এখন দুবাইয়ে ঝুঁকছেন।
সরকার–সমর্থিত ডেভেলপার মেরাস হোল্ডিংসের জুমেইরা বে আইল্যান্ড ১২৮টি প্লট বিক্রি করেছিল। সব প্লট এক বছর আগেই বিক্রি হয়েছিল। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া প্লটটির মালিক এটি আবার বিক্রি করেছেন। তবে প্লট আর ছোট করে বিক্রি করা যাবে না। তবে কয়েকজন প্লটমালিক জায়গা বড় করে বড় ভবন তৈরি করছেন। তবে দ্বীপটিতে এখন পর্যন্ত অল্প কিছু ভবন তৈরি হয়েছে।
এই দ্বীপেই রয়েছে বুলগারি নামের একটি রিসোর্ট, যা শহরটির দামি হোটেলগুলোর একটি। এ ছাড়া সেখানে বুলগারি লাইটহাউস টাওয়ার তৈরি হচ্ছে। সেখানে অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি শুরুর আগেই দাম আকাশ ছুঁয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ৫ বেডরুমের একটি অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১৮৫ কোটি টাকায়।
আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুবাইয়ে প্লট ও ফ্ল্যাটের দাম আরও বাড়তেই থাকবে। গত সপ্তাহে বিক্রি হওয়া প্লটটির পাশের আরেকটি প্লট ফাঁকা আছে। সেটির দাম এই রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।