স্যাটেলাইট ছবিতে ইসরায়েলের বিমানঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ধরা পড়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড ও ইসরায়েলি বাহিনীর তৎপরতায় সেগুলোর বেশির ভাগই আকাশে ধ্বংস হয়। কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয় বলে পরদিন জানিয়েছিল ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও জানানো হয়েছিল।
এখন স্যাটেলাইটে তোলা কিছু ছবির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের নেভাতিম বিমানঘাঁটির একটি এয়ারক্র্যাফট হ্যাঙ্গারের ছাদে বিশাল আকারের গর্ত দেখা যাচ্ছে। যে ভবনের ছাদে গর্ত দেখা যাচ্ছে সেটি বিমানঘাঁটির প্রধান রানওয়ের কাছে। ভবনের চারপাশে ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে পড়ে আছে।
ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটির একটি নেভাতিম। এই বিমানঘাঁটিতে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানসহ নিজেদের সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান রাখে ইসরায়েল। এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।
এয়ারক্র্যাফট হ্যাঙ্গারে যে সময়ে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, সে সময় সেখানে কোনো বিমান ছিল কিনা, তা স্যাটেলাইটের ছবি দেখে বোঝা যায়নি।
স্যাটেলাইটের এই ছবির বিষয়ে জানতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত এপ্রিলে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। সেবারও নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
গত মাসের শেষ দিকে লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি শহরতলিতে বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে ইসরায়েল। ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী হিজবুল্লাহ। হাসান নাসরুল্লাহ হত্যার পর দুই শত্রু দেশ ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।