অক্টোবরের হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির একটি ‘উপাদানে’ আঘাত করেছে : নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেন, গত মাসে চালানো বিমান হামলা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির একটি ‘উপাদানে’ আঘাত করেছে। এ হামলার ফলে ইরানের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সক্ষমতা কমেছে।
গতকাল সোমবার নিজেদের পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহু এ দাবি করেন। তিনি বলেন, এটা গোপন কোনো বিষয় নয়। এ হামলা তাদের (ইরান) পারমাণবিক কর্মসূচির একটি সুনির্দিষ্ট উপাদানে আঘাত করেছে।
ঠিক কোন উপাদানে আঘাত করেছে, তা স্পষ্ট করেননি নেতানিয়াহু। তবে তিনি বলেন, এতে (আঘাতের পরও) ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথ বন্ধ করা যায়নি।
১ অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান। ইরানের সহায়তাপুষ্ট হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও নিজেদের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) এক কমান্ডারের হত্যাকাণ্ডের প্রত্যুত্তরে ইসরায়েলে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছিল তেহরান। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসরায়েল।
এ হামলার জবাবে ২৬ অক্টোবর ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ তিনটি প্রদেশে তিন দফায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
এর আগে গত এপ্রিলে উভয় দেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো সরাসরি পাল্টাপাল্টি হামলা হয়।
গতকালের ভাষণে নেতানিয়াহু বলেন, এপ্রিলের হামলা ছিল তুলনামূলকভাবে ছোট। তবে সেই হামলায় তেহরানের আশপাশে ইরানের মোতায়েন করা রাশিয়ার তৈরি একটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘এস-৩০০’ ধ্বংস হয়।
এরপরও ইরানের হাতে আরও তিনটি এস-৩০০ ছিল। ২৬ অক্টোবরের হামলায় এই তিন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও ধ্বংস হয় বলে দাবি করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
তবে হামলার পর ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ দাবি করেছিলেন, ‘ইসরায়েলের হামলা আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে বিঘ্ন ঘটাতে পারেনি।’