ইসরায়েলকে আগেই মিসর সতর্ক করেছিল: যুক্তরাষ্ট্র
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের হামলার তিন দিন আগেই ইসরায়েলকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিল মিসর। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককল এ কথা জানিয়েছেন।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছেন।
হামাসের হামলার পর থেকেই ইসরায়েলের গোয়েন্দাদের ব্যর্থতার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচনা চলছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গতকাল বুধবার মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়ে আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে কথা বলেন মাইকেল ম্যাককল। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, মিসর তিন দিন আগেই ইসরায়েলকে বলেছিল যে এমন ঘটনা (হামাসের হামলা) ঘটতে পারে।’ মাইকেল ম্যাককল আরও বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে চাই না, তবে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।’
মিসরের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, চলতি সপ্তাহে কায়রোর পক্ষ থেকে একাধিকবার ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল যে গাজা থেকে ‘বড় কিছু’ ঘটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গাজার হুমকিকে খাটো করে দেখেছেন।
তবে এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দাবি করেন, ইসরায়েল এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো সতর্কবার্তা পায়নি। এ ব্যাপারে প্রকাশিত খবর ‘সম্পূর্ণ ভুয়া’।
ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত ৭ অক্টোবর।
ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ওই দিন নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় হামাস। মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজারের মতো রকেট ছুড়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয় সংগঠনটি। ভেদ করে ইসরায়েলের সুরক্ষাবলয়। শুধু তা-ই নয়, সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে পড়েন হামাসের যোদ্ধারা। শুরুতে হতবাক হলেও দ্রুত পাল্টা জবাব দেয় ইসরায়েল।
এর পর থেকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাবারের চরম সংকট। অনেক জায়গায় নেই বিদ্যুৎ। সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন গাজাবাসী। স্থল অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরায়েল।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ মানুষের প্রাণ গেছে।