গাজায় শাসন চালিয়ে যেতে পারবে না হামাস: জোসেপ বোরেল
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর বা গাজা উপত্যকায় হামাসের কোনো রাজনৈতিক বা সামরিক ভবিষ্যৎ নেই।
স্পেনের বার্সেলোনা শহরে জেসেপ বোরেল যখন এসব কথা বলছিলেন, তখন সেখানে ছিলেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি। তিনি অবশ্য বোরেলের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। সাফাদির ভাষ্যমতে, তাঁর বিশ্বাস, ভবিষ্যতের শাসকদের বেছে নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে শুধু ফিলিস্তিনিদের।
বার্সেলোনায় গতকাল বোরেল ও সাফাদি অংশ নিয়েছিলেন ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জোটের ফোরামে। সেখানে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ৪৮টি দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। তবে আমন্ত্রণ পেয়েও ফোরামে যোগ দেয়নি ইসরায়েল।
জোসেপ বোরেল বলেন, কিছু বিষয়ে সবাই একমত হবেন। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে হামাসকে ফিরতে না দেওয়া। এই সংগঠন ফিলিস্তিনের মানুষসহ সবার জন্য ক্ষতি বয়ে এনেছে।
গাজায় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের (পিএ) ফিরে আসার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে মনে করেন বোরেল। তিনি বলেন, একটি পুনরুজ্জীবিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ দরকার। কারণ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ছাড়া কোনো অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও অভিবাসনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এর জেরে ইউরোপকেই প্রথম খেসারত দিতে হবে।
গাজা ও পশ্চিম তীরের প্রতিনিধিত্বকারী একটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পুনরায় গড়ে তুলতে যত দ্রুত সম্ভব, নির্বাচনের আহ্বান জানান জোসেপ বোরেল। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে গাজা থেকে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা শক্তি হিসেবে অপসারিত হওয়ার পরও সেখানে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ নানা সেবা দিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
এ সময় আয়মান সাফাদি বলেন, ফিলিস্তিনের মানুষের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তাই কারা তাঁদের শাসন করবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত তাঁদেরই নিতে দিতে হবে। তবে তিনি মনে করেন, চলমান সংঘাত শেষে গাজার শাসন নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে গাজা ও পশ্চিম তীরকে অভিন্ন সত্তা হিসেবে দেখা উচিত।