সৌদি আরবে রেস্তোরাঁয় যা যা করতে পারবেন না নারী কর্মীরা
সৌদি আরবের রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলোতে নারী কর্মীদের নকল নখ ও চোখের পাপড়ি এবং নেইল পলিশের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। খাদ্যে বিষক্রিয়া ঠেকাতে এমন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়।
গয়না, কানের দুল বা হাতঘড়ি—যেগুলো ঢিলেঢালাভাবে পরা হয়ে থাকে, সেগুলোও রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলোতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেননা, এগুলোতে ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা জমে থাকতে পারে এবং তা খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টির একটি উৎস হতে পারে।
সৌদি আরবের নিউজ পোর্টাল আকবর২৪ এক প্রতিবেদনে জানায়, খাদ্যে বিষক্রিয়া প্রতিরোধে এ নির্দেশের পাশাপাশি মাংস ও দুগ্ধজাতসামগ্রীর মতো খাদ্যপণ্যের কাছে সুগন্ধি ও আফটার শেভ দ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে দেশটির পৌর, গ্রামবিষয়ক ও আবাসন মন্ত্রণালয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গয়না, কানের দুল বা হাতঘড়ি—যেগুলো ঢিলেঢালাভাবে পরা হয়ে থাকে, সেগুলোও রেস্তোরাঁ ও খাবার দোকানগুলোতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেননা এগুলোতে ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা জমে থাকতে পারে এবং তা খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টির একটি উৎস হতে পারে। তবে কান ছিদ্র করে পরা গোলাকৃতির এক টুকরা দুল ও খোদাই করা নয় এমন আংটি পরতে অসুবিধা নেই।
রেস্তোরাঁ ও খাবার সরবরাহকারী দোকানের প্রধানত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের স্থানগুলোতে পরিচ্ছন্নতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে নারী কর্মীদের নির্দেশনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক করেছে মন্ত্রণালয়। খাদ্য বিষক্রিয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি কমাতে ও গ্রাহকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা দিয়েছে।
এ ছাড়া খাবার তৈরি ও পরিবেশনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের কিছু অভ্যাস, যেমন: ধূমপান করা, খাবার খাওয়া, হাঁচি দেওয়া বা দস্তানা না পরে রান্নার আগে খাবার স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
রাজধানী রিয়াদের একটি রেস্তোরাঁয় খাদ্য বিষক্রিয়ার শিকার হয়ে সম্প্রতি ৭৫ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং পরে একজন মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ৭৫ জনের মধ্যে ৬৯ জন সৌদি আরবের নাগরিক ও অন্যরা বিদেশি।
গত ২৫ এপ্রিল রিয়াদ কর্তৃপক্ষ সেখানকার একটি রেস্তোরাঁয় খাদ্য বিষক্রিয়ার শিকার হওয়ার কয়েকটি ঘটনা শনাক্ত করে। তদন্তে রেস্তোরাঁটিতে খাবার সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানকে এ ঘটনায় দায়ী করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শাখা ছাড়াও রিয়াদ ও পার্শ্ববর্তী আল খারজ শহরে থাকা সব শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।