গাজায় হামলায় ‘সাদা ফসফরাস’ ব্যবহার করছে ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান হামলায় সাদা ফসফরাস ব্যবহার করছে ইসরায়েল। লেবাননে হামলায়ও তারা সাদা ফসফরাস ব্যবহার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, সাদা ফসফরাসের ব্যবহার বেসামরিক নাগরিকদের গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে ফেলছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি জানায়, সাদা ফসফরাস মানুষকে মারাত্মকভাবে দগ্ধ করতে পারে। ঘরবাড়িতে আগুন ধরে যেতে পারে। জনবহুল এলাকায় সাদা ফসফরাসের ব্যবহার বেআইনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদা ফসফরাস অত্যন্ত দাহ্য রাসায়নিক। অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে তা জ্বলে ওঠে। সাদা ফসফরাস ঘন সাদা ধোঁয়া তৈরি করে। বিশেষ করে জনবহুল এলাকায় এ রাসায়নিক যখন অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তখন তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, তারা বর্তমানে গাজায় সাদা ফসফরাসযুক্ত অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে অবগত নয়। তবে লেবাননে এই অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কোনো মন্তব্য করেনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮-০৯ সালে গাজায় চালানো হামলায় সাদা ফসফরাস ব্যবহার করেছিল ইসরায়েল। তখন বেশ কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছিল।
আল-জাজিরা জানায়, গাজায় ইসরায়েলের সাদা ফসফরাস ব্যবহারের নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ম্যাক্সওয়েল ফ্রস্ট।
ডেমোক্র্যাট এ আইনপ্রণেতা বলেছেন, আরও নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানিতে তাঁর হৃদয় ভেঙে গেছে। গাজার অধিবাসীরা সেখানকার পরিস্থিতিকে পৃথিবীর নরক বলছেন। গাজায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস করে, যাদের অর্ধেকই শিশু।
ম্যাক্সওয়েল ফ্রস্ট বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইনে সাদা ফসফরাসের ব্যবহার, বেসামরিক মানুষের ওপর বোমা হামলা ও যৌথ শাস্তি প্রদান নিষিদ্ধ।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত শনিবার ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে ইতিমধ্যে হাজারো মানুষ নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলে নিহত মানুষের সংখ্যা ১ হাজার ৩০০। গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।