রাইসির হেলিকপ্টার কীভাবে খুঁজে পাওয়া গেল, জানাল ইরানের সেনাবাহিনী
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্তে নিজেদের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ইরানের সামরিক বাহিনী গতকাল বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।
গত রোববার হেলিকপ্টারটি ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। এতে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টারটির আট আরোহীর সবাই নিহত হন।
আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় গত রোববার দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন রাইসি। সেখান থেকে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফেরার পথে ১৯ মে স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ব্যাপক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। এতে সহায়তা করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও তুরস্ক।
গত সোমবার ভোরে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতরে বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া হয়। এরপর সব আরোহীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তেহরান।
ইরানের সামরিক বাহিনী বলেছে, বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি খুঁজে পেতে তুরস্ক একটি ড্রোন পাঠিয়েছিল। এতে নাইটভিশনসহ অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ছিল। তা সত্ত্বেও হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের স্থান শনাক্তে ব্যর্থ হয় তুর্কি ড্রোনটি।
ইরানের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তুরস্কের পাঠানো ড্রোনটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের স্থান সঠিকভাবে শনাক্তে ব্যর্থ হয়। পরে ড্রোনটি তুরস্কে ফিরে যায়। শেষ পর্যন্ত গত সোমবার ভোরে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর ড্রোন (ইরানে তৈরি) ও স্থল উদ্ধারকারী বাহিনী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের সঠিক স্থান উদ্ঘাটন করে।
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাগেরি।