গাজায় ইসরায়েলি হামলা, একই পরিবারের ৭ শিশু নিহত
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় একই পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে ৭ জনই শিশু। গাজার উদ্ধারকারী সংস্থা সিভিল ডিফেন্স এ তথ্য জানিয়েছে।
১৪ মাসের বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা চেষ্টা চালিয়ে গেলেও সহিংসতা থামছে না।
গতকালের হামলা সম্পর্কে সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, ১০ জন নিহত হয়েছেন। তাঁরা জাবালিয়ার দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে জাবালিয়া আল-নাজলা এলাকায় নিজ বাড়িতে বিমান হামলার শিকার হয়েছেন। সাত শিশুসহ নিহত ব্যক্তিরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ছয় বছর।
বাসাল বলেন, হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এএফপিকে বলেছে, হামাসের মালিকানাধীন একটি সামরিক স্থাপনায় কার্যক্রম পরিচালনাকারী এবং ইসরায়েলি সেনাদের জন্য হুমকি বলে বিবেচিত কয়েকজন ‘সন্ত্রাসীর’ ওপর হামলা চালিয়েছে তারা।
এদিকে গাজার চিকিৎসাকর্মীদের বরাতে আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল ইসরায়েলের বিমান হামলায় ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর আগে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জন নিহত হয়েছেন।
অক্টোবরের শুরুর দিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। হামাস যেন সেখানে নতুন করে সংগঠিত না হতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে এ অভিযান শুরু করে তারা।
চলমান সহিংসতার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার যুদ্ধ থামাতে এবং গাজায় জঙ্গিদের হাতে এখনো বন্দী থাকা কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য নতুন করে আলোচনা চালাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা সম্পর্কে ‘সতর্ক আশাবাদ’ ব্যক্ত করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। সেদিন ইসরায়েলে নিহত হন অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন। ইসরায়েল থেকে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসা হয়। জবাবে সেদিন থেকেই অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনো চলছে।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলায় কমপক্ষে ৪৫ হাজার ২০৬ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।