কুৎসিত আঙিনার জন্য পুরস্কার পেলেন তিনি

সুন্দর আঙিনার জন্য কাউকে পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু যদি বলা হয়, কুৎসিত বা সবচেয়ে অসুন্দর আঙিনার জন্য কাউকে পুরস্কৃত করা হবে! যদি শোনা যায়, এমন পুরস্কার দেওয়া হয়েছে রীতিমতো বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে? তাহলে তো কপালে অবিশ্বাসের ভাঁজ পড়ে যাওয়ারই কথা। তবে সত্যিটা হলো, এমনই এক আয়োজন করা হয়েছে সুইডেনে।

সুইডেনের গটল্যান্ড শহর কর্তৃপক্ষ এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। প্রথম আসরে বিশ্ব কুৎসিত আঙিনার পুরস্কার জয় করেছেন অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্য স্যান্ডফোর্ডের এক নারী। তাঁর নাম ক্যাথলিন মারে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে জয়ী হয়েছেন তিনি।

দুই বছর আগে প্রথম নিজ শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল গটল্যান্ড শহর কর্তৃপক্ষ। এবার তারা প্রতিযোগিতার পরিধি বিশ্বব্যাপী বাড়ায়। তবে কেন এমন আয়োজন? এর মূল কারণ ছিল, গটল্যান্ড শহরের বাসিন্দাদের পানি সংরক্ষণের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা। তিন বছর আগে গটল্যান্ড প্রচণ্ড পানিসংকটে পড়েছিল। এরপর এমন ব্যতিক্রম প্রতিযোগিতার আয়োজনের ধারণা আসে তাদের মাথায়। গটল্যান্ড শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই প্রতিযোগিতা ও এ ধরনের কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করে তারা পানির ব্যবহার ৫ শতাংশ কমাতে পেরেছে। 

অস্ট্রেলিয়ার নারী মারে যে আঙিনার জন্য পুরস্কার জিতেছেন, সেই আঙিনা ধেঁড়ে ইঁদুরের গর্তে এবড়োখেবড়ো অবস্থায় রয়েছে। নিয়মিত পানি না দেওয়ার কারণে আঙিনার ঘাস, লতাপাতা বিবর্ণ হয়ে পড়েছে, ফুলের গাছগুলো কুঁকড়ে গেছে।

মারে জানান, অনেক দিন ধরে তিনি আঙিনা পরিষ্কার করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। বিশেষ করে ২০১৬ সালে তাঁর সাবেক স্বামী আঙিনার ঘাস কাটার যন্ত্রটি নিয়ে যাওয়ার পর থেকে। মারে বলেন, ‘আগে ভাবতাম ধেঁড়ে ইঁদুরগুলো আমার আঙিনায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো বন্য প্রাণী। আর এখন দেখি তারা আমাকে আঙিনা পরিচর্যার কষ্ট থেকে মুক্ত করেছে।’

মজার বিষয় হলো, পুরস্কার হিসেবে মারেকে দেওয়া হয়েছে পূর্বমালিকানাধীন একটি টি-শার্ট। যাতে লেখা রয়েছে, ‘বিশ্বের কুৎসিত আঙিনার গর্বিত মালিক।’