চিলিতে সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা আবার গণভোটে বাতিল
চিলিতে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের সময়কার সংবিধানের বদল ঘটিয়ে নতুন সংবিধান চালুর চেষ্টা আবার ব্যর্থ হলো। ৯৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ ভোট গোনা হয়ে গেছে। চিলির ৫৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ এই পরিবর্তন মানতে চাননি। ৪২ দশমিক ৭৬ শতাংশ এই পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
বামপন্থী প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বরিচ বলেছেন, দেশ দুই মেরুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই ফলাফল দেখিয়ে দিচ্ছে, যে কেউ খসড়া তৈরি করলেই জনগণ তা মেনে নেবে না।
দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার সংবিধান পরিবর্তনের খসড়া বাতিল করলেন চিলির ভোটদাতারা। ফলে সামরিক শাসক অগাস্তো পিনোশের সময়কার সংবিধান বদল করার প্রয়াস দ্বিতীয়বার ব্যর্থ হলো।
কেন পরিবর্তনের চেষ্টা
২০১৯ সালে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে সংবিধান সংস্কারের দাবিতে বিশাল বিক্ষোভ হয়। সেই বিক্ষোভে মূলত অংশ নিয়েছিলেন তরুণ-তরুণীরা। তখন বিক্ষোভ কিছুটা সহিংস হয়ে পড়েছিল।
এরপরই বর্তমান সংবিধান পরিবর্তন করে নতুন সংবিধান চালুর চেষ্টা শুরু হয়। ২০২০ সালের গণভোটে এই প্রস্তাবের পক্ষে ছিলেন ৮০ শতাংশ। চিলিতে ১৭ বছরের স্বৈরাচারী সামরিক শাসনের সময় এই সংবিধান চালু হয়েছিল।
এই বিক্ষোভের মাধ্যমে তরুণ বামপন্থী নেতা বরিচ ক্ষমতায় আসেন। তিনি এর আগে ছাত্রনেতা ছিলেন।
সেই প্রতিবাদের চার বছর পর এখন আগের উচ্ছ্বাস আর নেই। এ জন্য করোনা, মুদ্রাস্ফীতি, আর্থিক উন্নতি থেমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো দায়ী বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন।
প্রত্যাশিত ছিল
অতি-দক্ষিণপন্থী রিপাবলিকান পার্টির করা এই সংবিধান পরিবর্তনের চেষ্টা যে বাতিল হবে, সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বামন্থীরা পরিবেশগত সুরক্ষা, গর্ভপাতের অধিকার দিতে চেয়ে যে খসড়া করেছিল, সেটাও বাতিল হয়েছিল।
অতি-দক্ষিণপন্থীদের খসড়া মানুষ মেনে নিলে প্রেসিডেন্ট বরিচ ধাক্কা খেতেন। কারণ, তার কর ও পেনশন ব্যবস্থার সংস্কারের কাজ করাটা আর সম্ভব হতো না।