যে প্রেসিডেন্টকে ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি খেয়ে মরতে হয়েছিল

ভেনুস্তিয়ানো কারাঞ্জা গারজাছবি: উইকিমিডিয়া কমনস

বিদ্রোহী থেকে বিপ্লবী, রাজনীতিবিদ থেকে প্রেসিডেন্ট—কী হননি। ক্ষমতার মঞ্চে যেতে ছাড় দেননি শত্রু-মিত্র কাউকে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। একসময়ের মিত্র রাজধানীতে এসে ঝোড়োগতিতে বিতাড়িত করেন তাঁকে ও তাঁর সমর্থকদের। তাড়া খেয়ে পালিয়ে অন্য শহরে গিয়ে আরেক মিত্রের কাছে আশ্রয় নেন। কিন্তু প্রায়শ্চিত্ত তাঁর পিছু ছাড়েনি। মিত্রের ঘরেই ঘুমন্ত অবস্থায় গুলি খেয়ে মরতে হয়েছে তাঁকে।

বলা হচ্ছে আততায়ীর হাতে নিহত মেক্সিকোর বিপ্লবী প্রেসিডেন্ট কারাঞ্জার কথা। কেন, কীভাবে তাঁর এমন করুণ পরিণতি হলো, সে কথাই জানা যাক ইতিহাসের পাতা থেকে:

পুরো নাম ভেনুস্তিয়ানো কারাঞ্জা গারজা। মেক্সিকোর রাজনীতিবিদ, যুদ্ধবাজ নেতা ও জেনারেল। মেক্সিকো বিপ্লবের (১৯১০-১৯২০) আগে উত্তর মেক্সিকোর কুয়াত্রো সিনেগাস শহরের মেয়র, কংগ্রেসের একজন সদস্য ও সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিপ্লব ছড়িয়ে পড়লে প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি নিজেকে মেক্সিকোর আরেক বিপ্লবী ও তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিসকো মাদেরোর দলে যুক্ত করেন।

২১ মে ১৯২০। এদিন রাতে কারাঞ্জা ঘুমিয়ে ছিলেন। হেরেরার অনুগত সেনারা গভীর রাতে তাঁকে এবং তাঁর শীর্ষস্থানীয় পরামর্শদাতা ও সমর্থকদের ওপর গুলি চালান। মেরে ফেলেন সবাইকে। পরে এ ঘটনায় জেনারেল হেরেরাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান ওবরেগন। কিন্তু এটা স্পষ্ট, নিহত প্রেসিডেন্ট কারাঞ্জার জন্য কারও মনে এতটুকু অনুতাপ হয়নি। খালাস পেয়ে যান হেরেরাও।

মাদেরো নিহত হলে স্বাধীনভাবে নিজস্ব সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছিলেন ভেনুস্তিয়ানো কারাঞ্জা। পরে ১৯১৭ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ১৯১০ সাল থেকে দেশে শুরু হওয়া সংঘাত-সহিংসতা, বিশৃঙ্খলার লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হন তিনি। একপর্যায়ে ১৯২০ সালে জেনারেল রোডলফো হেরেরার নেতৃত্বাধীন সেনাদের হাতে নিহত হন ভেনুস্তিয়ানো।

কোয়াহুইলা রাজ্যের কোয়াত্রো সিনেগাস শহরের এক উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারে ১৮৫৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্ম কারাঞ্জার। ১৮৬০-এর দশকে মেক্সিকোয় যখন অস্থিরতা চলছিল, তখন তাঁর বাবা ছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বেনিতো জুয়েরেজের সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা। জুয়েরেজের সঙ্গে বাবার এ সংশ্লিষ্টতা কারাঞ্জার জীবন ও আদর্শে গভীর প্রভাব ফেলে। ধনাঢ্য পরিবারে বেড়ে ওঠা ভেনুস্তিয়ানো কারাঞ্জা সালটিলো ও মেক্সিকো সিটির নামীদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেন। পরে নিজ এলাকায় ফিরে মনোযোগ দেন পারিবারিক পশুপালন ব্যবসায়।

রাজনীতিতে প্রবেশ

কারাঞ্জা ছিলেন উচ্চাভিলাষী মানুষ। অর্থনৈতিকভাবে তাঁর পেছনে ছিল পরিবারের সমর্থন। এ দুইয়ে ভর করে নিজ শহরের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ১৮৯৩ সালে ভাইদের নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট পোরফাইরিও দায়াজের ঘনিষ্ঠ মিত্র কোয়াহুইলার গভর্নর হোসে মারিয়া গারজার শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এমনকি নতুন গভর্নর মনোনয়ন দেওয়ার মতো যথেষ্ট প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন তাঁরা। এ প্রক্রিয়ায় কারাঞ্জা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাঁর কয়েকজন বন্ধু তৈরি করেন। তাঁদেরই একজন প্রেসিডেন্ট দায়াজের বন্ধু বার্নার্ডো রেজ। শুরু হয় রাজনীতিতে কারাঞ্জার উত্থান। এরই ধারাবাহিকতায় হন কংগ্রেস সদস্য ও সিনেটর। ১৯০৮ সালের মধ্যে তিনি কোয়াহুইলা রাজ্যের পরবর্তী গভর্নর হচ্ছেন—ব্যাপকভাবে শুরু হয় এমন ধারণা।

আকর্ষণীয়, বুদ্ধিমান, একগুঁয়ে

দীর্ঘকায় মানুষ ছিলেন কারাঞ্জা। লম্বায় ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি। লম্বা সাদা দাড়ি ও চোখে চশমা পরা কারাঞ্জাকে প্রথম দেখায় মনে হবে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন হিসেবে। ছিলেন বুদ্ধিমান ও কঠোর মনোভাবের। তবে অন্যকে প্রভাবিত করার অনন্য ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন, তেমনটা বলা যাবে না।

একগুঁয়ে স্বভাবের কারাঞ্জার ছিল রসিকতাগুণেরও ঘাটতি। খুব বেশি আনুগত্য আদায় করার মতো গুণ তাঁর ছিল না। অবশ্য, বিপ্লবে তাঁর সাফল্য পাওয়ার পেছনে ছিল মূলত নিজেকে একজন প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি ও দেশে শান্তি ফেরানোর ক্ষেত্রে জাতির সামনে আশার আলো হিসেবে তুলে ধরার সামর্থ্য। সমঝোতার অক্ষমতা তাঁর সামনে কিছু বড় রকমের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। ব্যক্তিগতভাবে কারাঞ্জা সৎ মানুষ হলেও তাঁর চারপাশে থাকা লোকজনের দুর্নীতির ব্যাপারে তাঁকে মনে হয়েছে উদাসীন।

বিপ্লবী মাদেরোর সঙ্গে নড়বড়ে জোট

কারাঞ্জাকে গভর্নর হিসেবে স্বীকৃতি দেননি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট দায়াজ। বিপ্লবী (পরে প্রেসিডেন্ট) মাদেরোর দলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ১৯১০ সালে জালিয়াতির নির্বাচন হওয়ার পর দেশে বিদ্রোহের ডাক দেন মাদেরো। এ বিদ্রোহে কারাঞ্জা তেমন ভূমিকা না রাখলেও মাদেরো মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর পদ দিয়ে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ঘটনা পাঞ্চো ভিলা ও পাসকুয়েল ওরোজকোর মতো বিপ্লবীদের ক্ষুব্ধ করে তোলে।

মাদেরোর সঙ্গে কারাঞ্জার জোটবদ্ধ থাকাটা ছিল সব সময়ই নড়বড়ে প্রকৃতির। কেননা, ছোটখাটো সংস্কারে সত্যিকারের বিশ্বাসী ছিলেন না তিনি। কারাঞ্জার বিশ্বাস ছিল, মেক্সিকো শাসন করার জন্য একজন শক্ত প্রকৃতির মানুষ (বিশেষত তিনি নিজেই) দরকার।

প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ

১৯১৩ সালে প্রেসিডেন্ট মাদেরো বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হন। নিজ জেনারেলদেরই একজন ভিক্টোরিয়ানো হুয়ের্তার হাতে খুন হন তিনি। হুয়ের্তা ছিলেন দায়াজের অনুসারী। মাদেরোকে খুন করে তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। কিন্তু বিদ্রোহ করেন কারাঞ্জা। ছোট আকারে নিজস্ব সেনাবাহিনী গড়ে তোলার পাশাপাশি তৈরি করেন খসড়া সংবিধান।

হুয়ের্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রাথমিক পর্যায়ে কারাঞ্জার সেনাদল অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। এ অবস্থায় বিপ্লবী পাঞ্চো ভিলা ও এমিলিয়ানো জাপাতা এবং সোনোরা এলাকায় সেনাদল গড়ে তোলা প্রকৌশলী ও খামারি আলভারো ওবরেগনের সঙ্গে এক অস্বস্তিকর জোট গড়েন কারাঞ্জা। প্রেসিডেন্ট হুয়ের্তার প্রতি শুধু বিদ্বেষ থেকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এ বিপ্লবীরা মিলিতভাবে ১৯১৪ সালে কারাঞ্জাকে জোট থেকে সরিয়ে দেন এবং একে অপরের বিরুদ্ধে চড়াও হন।

সরকার গঠন ও সাবেক মিত্রদের সঙ্গে বিবাদ  

এ অস্থিরতার মধ্যে নিজেকে প্রধান করে একটি সরকার গঠন করেন কারাঞ্জা। রাষ্ট্রীয় মুদ্রা ছাপানো থেকে শুরু করে আইন পাসের মতো বিভিন্ন কাজ করে এ সরকার। হুয়ের্তার পতনের পর কারাঞ্জা (ওবরেগনের সমর্থনে) ক্ষমতার শূন্যস্থান পূরণে নিজেকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। দ্রুতই ভিলা ও জাপাতার সঙ্গে তাঁর শত্রুতা বেড়ে যায়। ভিলার শক্তিশালী সৈন্যদল থাকলেও ওবরেগন ছিলেন অধিকতর ভালো যুদ্ধকুশলী। কারাঞ্জা গণমাধ্যমের কাছে ভিলাকে দস্যু হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হন। দেশের দুই প্রধান বন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেন কারাঞ্জা এবং ভিলার চেয়ে বেশি রাজস্ব সংগ্রহ শুরু করেন। ১৯১৫ সালের শেষ দিকে পালিয়ে যান ভিলা। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কারাঞ্জাকে মেক্সিকোর নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন কারাঞ্জা

দৃশ্যপট থেকে ভিলা ও জাপাতাকে সরিয়ে ১৯১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন কারাঞ্জা। তবে দেশে খুব সামান্যই পরিবর্তন আনেন তিনি। মেক্সিকো বিপ্লবের পর যাঁরা সত্যিকার অর্থে এক নতুন ও আরও উদার মেক্সিকো দেখতে চেয়েছিলেন, তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েন। এ পর্যায়ে ওবরেগন নিজের খামার ব্যবসায় মনোযোগী হন। তবে লড়াই চলতে থাকে—বিশেষ করে দেশের দক্ষিণে জাপাতার বিরুদ্ধে। পরে ১৯১৯ সালে ওবরেগন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে কারাঞ্জা তাঁর সাবেক এই মিত্রকে ক্ষমতার মঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালান। কারণ, এরই মধ্যে ইগনাসিও বনিলাসকে নিজের উত্তরসূরি হিসেবে বাছাই করেন তিনি। ওবরেগনের সমর্থকদের ওপর শুরু হয় নির্যাতন। নিহত হন তাঁদের কেউ কেউ। ওবরেগন বুঝে ফেলেন, কারাঞ্জা কখনো শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা ছাড়বেন না।

শেষ পরিণতি

একসময়ের মিত্র ওবরেগন মেক্সিকো সিটিতে তাঁর অনুগত সেনাদের নিয়ে আসেন। ঝোড়োগতিতে বিতাড়িত করেন প্রেসিডেন্ট কারাঞ্জা ও তাঁর সমর্থকদের। তাড়া খেয়ে পুনরায় সংগঠিত হতে ভেরাক্রুজ শহর অভিমুখে চলে যান কারাঞ্জা। কিন্তু পথে তাঁকে ও তাঁর সমর্থকদের বহনকারী ট্রেনগুলো হামলার মুখে পড়ে। এ সময় সমর্থকদের রেখে সড়কপথে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। পার্বত্য এক এলাকায় তাঁকে গ্রহণ করেন মিত্র ও স্থানীয় প্রধান জেনারেল রোডলফো হেরেরা।

২১ মে ১৯২০। এদিন রাতে কারাঞ্জা ঘুমিয়ে ছিলেন। হেরেরার অনুগত সেনারা গভীর রাতে তাঁকে এবং তাঁর শীর্ষস্থানীয় পরামর্শদাতা ও সমর্থকদের ওপর গুলি চালান। মেরে ফেলেন সবাইকে। পরে এ ঘটনায় জেনারেল হেরেরাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করান ওবরেগন। কিন্তু এটা স্পষ্ট, নিহত প্রেসিডেন্ট কারাঞ্জার জন্য কারও মনে এতটুকু অনুতাপ হয়নি। খালাস পেয়ে যান হেরেরাও।

শত বছর পরও স্মরণ

উচ্চাকাঙ্ক্ষী কারাঞ্জা নিজেকে মেক্সিকো বিপ্লবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কেননা, মনেপ্রাণে কারাঞ্জা বিশ্বাস করতেন, দেশের জন্য কোনটি সবচেয়ে ভালো, তা জানা আছে তাঁর। তিনি ছিলেন পরিকল্পনামাফিক কাজ করা মানুষ ও একজন সংগঠক। ছিলেন চতুর রাজনীতিতে সফল ব্যক্তি; যেখানে অন্যরা নির্ভরশীল ছিলেন অস্ত্র ও পেশিশক্তির ওপর। তাঁর সমর্থকেরা যে বিষয়টি বলে থাকেন, তা হলো, দেশে খানিকটা স্থিতিশীলতা আনেন তিনি ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মাদেরোর খুনি জেনারেল হুয়ের্তার উত্থান ঠেকাতে ভূমিকা রাখেন।

যাহোক, প্রেসিডেন্ট কারাঞ্জার ভুল ছিল অনেক। জেনারেল হুয়ের্তার বিরুদ্ধে লড়াই চলাকালে তিনি ঘোষণা করেন, যে-ই তাঁর বিরোধিতা করবেন, তাঁকেই মেরে ফেলবেন। কারণ, প্রেসিডেন্ট মাদেরো নিহত হওয়ার পর নিজেকে মেক্সিকোর একমাত্র বৈধ সরকার বলে বিবেচনা করেন তিনি। তাঁর নির্দেশ অনুসরণ করেন অন্য কমান্ডাররা। ফলে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যায়, যাঁদের ইচ্ছা করলে তিনি ছেড়ে দিতে পারতেন। অবন্ধুসুলভ আচরণ ও অনমনীয় মনোভাব কারাঞ্জার ক্ষমতায় থাকা কঠিন করে তুলেছিল। বিশেষ করে যেখানে বিকল্প নেতারা যেমন, ভিলা ও ওবরেগন ছিলেন অনন্য নেতৃত্বগুণের অধিকারী।

মৃত্যুর শত বছর পর আজও মেক্সিকো বিপ্লবের ‘বিগ ফোর’ নেতাদের একজন হিসেবে কারাঞ্জাকে জাপাতা, ভিলা ও ওবরেগনের পাশাপাশি স্মরণ করা হয়ে থাকে। ১৯১৫ থেকে ১৯২০ সাল—এর বেশির ভাগ সময় এই নেতাদের যে কারও চেয়ে কারাঞ্জা ছিলেন বেশি ক্ষমতাশালী। কিন্তু আজ সম্ভবত তাঁকেই সবচেয়ে কম স্মরণ করা হয়। এর পেছনে ওবরেগনের কৌশলী বুদ্ধিমত্তা ও ১৯২০-এর দশকে ক্ষমতায় আরোহণ, ভিলার কিংবদন্তিতুল্য সাহস, নৈপুণ্য, ভঙ্গি ও নেতৃত্ব এবং জাপাতার অটুট আদর্শ ও দূরদৃষ্টিকে তুলে ধরেন ঐতিহাসিকেরা। অথচ কারাঞ্জার মধ্যে ছিল না এসবের কিছুই।

তথ্যসূত্র:

  • থটকো ডটকম। ৩ জুলাই, ২০১৯

  • এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

  • ম্যাকলিন, ফ্রাঙ্ক। ভিলা অ্যান্ড জাপাতা: আ হিস্টোরি অব দ্য মেক্সিকান রেভল্যুশন। নিউইয়র্ক: ক্যারল অ্যান্ড গ্রাফ, ২০০০।