২৬ মাস পর কলকাতা থেকে খুলনায় ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’

স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতা থেকে খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

দীর্ঘ ২৬ মাস পর কলকাতা থেকে খুলনার উদ্দেশে যাত্রা করেছে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেন।

স্থানীয় সময় আজ রোববার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতার পুরোনো চিৎপুরের আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন থেকে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

অন্যদিকে আজ ঢাকা থেকে ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করার কথা। এ ছাড়া ১ জুন নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকার মধ্যে ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেন চলাচল শুরু হবে।

কলকাতা থেকে খুলনার দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বন্ধন এক্সপ্রেসের খুলনায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

ট্রেনটি আবার আজ বেলা তিনটায় খুলনা থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করবে। সন্ধ্যা নাগাদ ট্রেনটি কলকাতা স্টেশনে পৌঁছাবে।

আজ সকালে কলকাতা থেকে বন্ধন এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার সময় স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় রেলের (পূর্ব) শিয়ালদহ বিভাগের সহকারী কমার্শিয়াল ম্যানেজার হরি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর ট্রেনটি চালু হলো। তবে ট্রেনটি চালুর ব্যাপারে তেমন প্রচার ছিল না। তাই আজ যাত্রী কম। মাত্র ১৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ছাড়া হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।’

হরি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, কলকাতা থেকে খুলনা গন্তব্যের ক্ষেত্রে ট্রেনের এসি চেয়ারের ভাড়া ৮০০ রুপি। এসি এক্সিকিউটিভ শ্রেণির ভাড়া ১ হাজার ২০০ রুপি।

বন্ধন এক্সপ্রেস প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতা স্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশে ছাড়বে। আর একই দিন খুলনা থেকে কলকাতার উদ্দেশে ছাড়বে বেলা তিনটায়। নাগাদ ছেড়ে সন্ধ্যায় কলকাতা স্টেশনে পৌঁছাবে।

দেশে করোনার সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর ২০২০ সালের ২৪ মার্চ থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার আগে ১৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচলকারী আন্তদেশীয় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সংক্রমণ কমায় মাঝে দেশের ভেতরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও আন্তদেশীয় ট্রেন চলাচল বন্ধই থাকে। আজ বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আবার আন্তদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলো।

বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৭ সালে। ২০০৮ সালে চালু হয় ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’।