২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

সীমান্ত সমস্যার গ্রহণযোগ্য সমাধান করতে সম্মত ভারত–চীন

গালওয়ান ভ্যালি নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে
ছবি: এএফপি

সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে বৈঠক করেছেন ভারত-চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বুধবার তাজিকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশনের বৈঠকের পাশাপাশি ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করেন।

বৈঠকের পর সীমান্ত সমস্যার ‘পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান’ করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর টুইটে বলা হয়েছে, সীমান্তে একতরফা স্থিতাবস্থা পরিবর্তন গ্রহণযোগ্য নয়, এটা নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাজিকিস্তানে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং ওয়াং হি। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জয়শংকর। ভারত-চীন সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত বছরের জুন মাসে ভারত-চীন সীমান্তের লাদাখে তীব্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনা। ভারতের প্রায় ২০ জন সেনা নিহত হন। চীন সংখ্যা না জানালেও তাদের সেনাও আহত এবং নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। এরপর প্রায় ৯ মাস ধরে লাদাখ সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকে দুই দেশের সেনা। গালওয়ান ছাড়াও প্যাংগং লেক অঞ্চলে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনা।

ভারত চীনের বিরুদ্ধে এবং চীন ভারতের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তোলে। সেনা পর্যায়ে একাধিক আলোচনা এবং দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর সমাধানসূত্র বের হয়। দুই দেশই ঠিক করে প্যাংগং অঞ্চল থেকে সেনা পিছিয়ে নেওয়া হবে। কয়েক মাস ধরে সে কাজ চলেছে। উত্তাপও খানিকটা কমেছে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়নি।

ভারতের বক্তব্য, গত বছরের এপ্রিলের আগে দুই দেশের সেনার সীমান্তে যে অবস্থান ছিল, সেখানে ফিরে যেতে হবে। প্যাংগংয়ের মতো অন্য বিতর্কিত অঞ্চল থেকেও সেনা পিছিয়ে নিতে হবে। ভারতীয় কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, চীন তাতে রাজি নয় এবং সে কারণেই সমাধানসূত্র মিলছে না।

তাদের বক্তব্য, বুধবারের বৈঠকেও দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সম্ভবত সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাননি। সে কারণেই নতুন করে সেনা স্তরের বৈঠকের কথা বলা হয়েছে। তবে দুই দেশের মন্ত্রীরাই একটি বিষয়ে সহমত হয়েছেন, সীমান্তে উত্তেজনার জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত তার সমাধান প্রয়োজন।