সিএএ, এনআরসির বিরুদ্ধে অভিনব প্রচার 'জবাব নেহি দেঙ্গে'
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) ও জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) বিরোধী আন্দোলন নিয়ে অভিনব প্রচারে নেমেছে বামপন্থী দল সিপিএম। ‘জবাব নেহি দেঙ্গে’ বা ‘জবাব দেব না’ স্লোগান নিয়ে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গতকাল রোববার কেরালার রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে ইএমএস সেন্টারে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ভারতজুড়ে সিএএ, এনআরসি ও এনপিআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, আন্দোলন চলছেই। এতে সব শ্রেণির মানুষের সঙ্গে শামিল হয়েছেন কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক থেকে সংস্কৃতিকর্মী, নাট্যব্যক্তিত্ব ও চিত্রতারকারা। প্রতিবাদে শামিল হয়ে ভারতের প্রখ্যাত লেখক বরুণ গ্রোভার সম্প্রতি লিখেছিলেন, ‘হাম কাগজ নহি দেখায়েঙ্গে’। যার অর্থ, ‘আমি কাগজ দেখাব না’। সেই কবিতাটি এখন অনুবাদ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে বিভিন্ন ভাষায়। ওই কবিতার সঙ্গে মিল রেখে সিপিএম নতুন স্লোগান তুলেছে ‘জবাব দেব না’।
গতকালের বৈঠক শেষে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানান, ‘জবাব দেব না’ স্লোগান নিয়ে সিপিএমের কর্মীরা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যাবেন। মানুষকে বোঝাবেন সাম্প্রদায়িক বিভাজন করতে বিজেপি এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। এটা মানে না দেশবাসী। মানবেও না। ‘জবাব দেব না’ আন্দোলন চলবে ২৩ মার্চ পর্যন্ত।
সিপিএম জানিয়েছে, সরকারি কর্মীরা এনআরসি এবং এনপিআরের ফরম নিয়ে তথ্য যাচাইয়ের জন্য বাড়িতে এলে কেউ যেন জবাব না দেন, সেটাই হবে তাদের প্রচার।
এর আগে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল, এনআরসি এবং এনপিআরের ফরম নিয়ে কেউ বাড়িতে এলে যেন ভুল তথ্য দেওয়া হয়। তবে এতে দ্বিমত রয়েছে সিপিএমের। তাদের কথা, ভুল তথ্য দিলে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে মানুষকে। তাই কাউকে জেনেশুনে সেই ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া ঠিক নয়। ভুল তথ্য না দিয়ে তাই তাঁরা যেন বলেন, ‘জবাব দেব না।’